আর উদ্বোধনী দিনেই বোলিংয়ে জাদু দেখালেন লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করার সম্ভাবনা জানান দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় লিগের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেট তুলে নিতে সমর্থ হয়েছেন জুবায়ের।
৯.১ ওভার বোলিং করে ৩৪ রান খরচায় নিয়েছেন ৬টি উইকেট। এর মধ্যে ৫টি উইকেট পতন হয়েছে বোলিং বৈচিত্র্যে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে দিয়ে শুরু জুবায়েরের মিশন; শেষ হয় নিহাদকে আউট করে।
জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার হ্যামিল্টন মাসাকাদজা লিখনের গুগলি বলটি বুঝতে ব্যর্থ হয়ে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরতে বাধ্য হন। আউট হওয়ার আগে কলাবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তিনি।
আবাহনীর বিদেশি ক্রিকেটার উদয় কাউলের হাতে মেহরাব হোসেন জুনিয়র যখন ক্যাচ তুলে দেন তখন লিখনের পকেটে দুটি উইকেট জমা পড়ে। এটিও গুগলিতেই শিকার করেন লিখন। এর এক ওভার পরেই শরিফউল্লাহও গুগলিতে ক্লিন বোল্ড হন।
জুবায়ের তার চতুর্থ উইকেটটি শিকার করেন সাধারণ একটি বলে। তানভীর হায়দার বলটি বুঝতে ব্যর্থ হয়ে তামিম ইকবালকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন।
পঞ্চম উইকেট হিসেবে আব্দুর রাজ্জাককে তুলে নেন জুবায়ের হোসেন। যদিও আউটটি নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। লিখনের বলে ব্যাট-বলের সংযোগ হয়েছে কিনা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। সাধারণত তিনি আউট হওয়ার পর এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখান না; যা শুক্রবারের ম্যাচে দেখিয়েছেন।
শেষ উইকেট হিসেবে নিহাদুজ্জামানের উইকেটটি তুলে নেন লেগ স্পিনার জুবায়ের। নিহাদকে (৮) রানে ক্লিন বোল্ড করেন।
জুবায়ের হোসেন লিখনের বোলিং দৃঢ়তায় কলাবাগান ১৪০ রানে গুটিয়ে যায়। লিখনের ৬টি উইকেট ছাড়াও সাকলাইন সজিব ২টি এবং তাসকিন আহমেদ ও আবুল হাসান রাজু একটি করে উইকেট নেন।
উল্লেখ্য, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই জুবায়েরের সর্বোচ্চ সাফল্য। এর আগে ২৮ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
/আরআই/এফআইআর/