নারায়ণগঞ্জের খুদে ফুটবলার রাব্বী যাচ্ছে রাশিয়াতে

বাবার সঙ্গে রাব্বীআগামী ২৩ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত রাশিয়াতে বসবে কনফেডারেশনস কাপ অনূর্ধ্ব-১২ ফুটবল। আর সেই খেলায় বাংলাদেশ থেকে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ঠাঁই করে নিল শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ের ১১ বছর বয়সী গোলাম রাব্বী খান। বাছাইয়ে রাব্বীসহ দেশের ২০০ ফুটবলার অংশ নিলেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) স্ট্র্যাটেজিক ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি বেছে নিয়েছে ‘ভাগ্যবান’ রাব্বীকে। তার সঙ্গে জমজ ভাই গোলাম রাফি অংশ নিলেও ছিটকে পড়েছে।

রাব্বীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ লক্ষ্যাচার এলাকাতে। বন্দরে হাজী ইব্রাহিম আলম চাঁন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র গোলাম রাব্বী বাংলাট্রিবিউনকে বলে, ‘সোমবার বিকেলেই বাবার মাধ্যমে খবরটি পেয়েছি। কিন্তু এর পেছনেও একটি বড় আত্মতৃপ্তি হলো। বাবা কিছুদিন ধরেই আমার খেলাধুলা নিয়ে খুশি ছিলেন না। এর আগে আমাকে নিয়ে ঢাকার অনেক ক্লাবে ঘুরাঘুরি করলেও ক্লাবগুলো একটু আড়চোখে তাকাতো। তখন থেকেই বাবা ফুটবলের প্রতি কিছুটা নাখোশ ছিল। তবে আম্মাকে রাজি করিয়ে বাবার চোখের আড়ালে গিয়েও প্র্যাকটিস চালাতাম। অবশেষে সে পরিশ্রমের ফসল এসেছে। এখন রাগ করে থাকা বাবাও খুশি। আমিও খুশি যে বাবার মলিন মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি।

রাব্বী জানায়, ২০১১ সাল থেকে সে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত মদনগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে প্র্যাকটিস করে। এখনও পর্যন্ত ৪টি টুনার্মেন্ট খেলতে পেরেছে।

মদনগঞ্জ ফুটবল একাডেমির কোচ সৈকত হোসেন স্বপন বলেন, ‘প্রচণ্ড প্রতিভাবান ও দোর্দণ্ড খেলে রাব্বী। খেলার পুরস্কার সে এখনই পেয়েছে। সে আমাদের গর্ব।’

রাব্বীর বাবা বশির উদ্দিন খান রতন সৌদি আরব প্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে এসেছেন। চার ছেলের মধ্যে রাফি ও রাব্বী জমজ।

রাব্বীর বাবা বলেন, ‘টাকা ও আত্মীয় স্বজন না থাকায় মূলত সন্তানদের ঢাকার কোনও বড় ক্লাবে ভর্তি করাতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস ছিল এখন না পারলেও বড় হয়ে তাদের খেলায় তারা ভালো জায়গা পাবে। স্বপ্ন আল্লাহ পূরণ করছে।’

/এফএইচএম/