ফিরেই ম্যানইউর জয়ের নায়ক রুনি

রুনির গোল উদযাপনঅ্যান্ডারলেখটের বিপক্ষে গত বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চোট পান জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। তার জায়গায় রবিবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাদশে নাম লিখেন ওয়েইন রুনি। ক্লাবের রেকর্ড গোলদাতা প্রায় ২ মাস পর ফিরেই গোল করলেন। বার্নলির মাঠে ম্যানইউ জিতল ২-০ গোলে।

ইউরোপায় অ্যান্ডারলেখটকে হারানো ম্যানইউ ৮টি পরিবর্তন নিয়ে নেমেছিল বার্নলির ঘরে। মারকুস রাশফোর্ডকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন হোসে মরিনহো। ৪ মার্চের পর প্রথমবার ম্যানইউর জার্সি পরেন রুনি। শুরু থেকে আক্রমণভাগে নৈপুণ্য দেখান তিনি। কিন্তু গোলমুখ খুলেছেন অ্যান্থনি মার্শাল।

২১ মিনিটে অ্যান্ডার হেরেরার পাসে নিজের ২৫তম ক্লাব গোল করেন মার্শাল। আর এ গোলেই ৪০ বছরের শাপ কাটায় ম্যানইউ। বার্নলির মাঠ টার্ফ মুরে এটি ছিল তাদের প্রথম লিগ গোল। এর আগে এ স্টেডিয়ামে চারটি লিগ ম্যাচে মাত্র একবার গোল করেছিল ইউনাইটেড, ১৯৭৬ সালের এপ্রিলে ওই গোল করেছিলেন লু মাকারি।

একবার গোলমুখ খুলে যাওয়ার পর বিরতির কয়েক মিনিট আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যানচেস্টারের ক্লাব। ৩৯ মিনিটে রুনির গোলে ২-০ হয় তাদের। দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকবার ম্যানইউ প্রতিপক্ষের গোলমুখে হানা দিলেও ব্যর্থ হয়। তবে লিগে টানা ২৩ ম্যাচ অজেয় থাকার মর্যাদা ঠিক অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছে তারা।

এ জয়ে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ইউনাইটেড ব্যবধান কমাল ১ পয়েন্টে। চার নম্বরে থাকা সিটিজেনরা ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে। আর সমান খেলে মরিনহোর শিষ্যদের অর্জন ৬৩ পয়েন্ট, পাঁচ নম্বরে তারা। সূত্র- গোলডটকম

/এফএইচএম/