৩ পেরিয়ে বাংলা ট্রিবিউন

সুযোগ-সুবিধা আরেকটু পেলে...

সাবিনা খাতুনবাংলা ট্রিবিউনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধি কামনা করছি। বাংলা ট্রিবিউনের সব সদস্যের প্রতি নারী ফুটবল দলের পক্ষ থেকে আমার শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশে মেয়েরা ফুটবলে বেশ উন্নতি করেছে, তবে আগের চেয়ে খেলা কমে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব কিছুটা হলেও পড়বে। আমাদের অনেক বেশি বিদেশি টুর্নামেন্ট খেলা উচিত, বিদেশ সফরে যাওয়া উচিত। কিন্তু আমরা তেমন খেলার সুযোগই পাচ্ছি না। বিদেশি দলের বিপক্ষে খেলতে পারলে খেলোয়াড়দের স্কিল এবং আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়।

ফুটবলকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে একজন নারীকে অনেক সাহস সঞ্চয় করতে হয়। এখন অবশ্য পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা যখন শুরু করেছিলাম, তখন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলাম। তবে গত ৭-৮ বছরে প্রেক্ষাপট অনেক বদলে গেছে। এখন অভিভাবকরাও মেয়েদের ফুটবল খেলতে দিতে অনেক বেশি আগ্রহী।

আমি বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশি ক্লাবে খেলেছি। সেজন্য আমি গর্বিত। তবে দেশের জন্য কিছু করতে পারলে আরও গর্ববোধ করতাম। তারপরও যদি দেখি কোনও মেয়ে আমাকে দেখে ফুটবলে এসেছে, তাহলে তা অবশ্যই আমাকে আরও ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। মেয়েরা ফুটবলে আরও এগিয়ে এলে আমি সম্মানিত বোধ করব।

কিন্তু দেশকে গৌরব এনে দেওয়ার পরও মেয়েরা যদি তাদের প্রাপ্য সম্মান না পায়, তাহলে খুবই দুঃখজনক। পুরুষ ফুটবলারদের চেয়ে আমাদের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম। তারপরও আমরা স্বপ্ন চোখে নিয়ে ফুটবল খেলে চলছি। জাতীয় দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, পুরুষদের চেয়ে নারী ফুটবলাররা এখন বেশি ভালো করছে। ফেডারেশনের উচিত, আমাদের দিকে আরেকটু নজর দেওয়া। তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা মহিলা ফুটবল লিগ চালু করা দরকার। মাঠে খেলা না থাকলে ফুটবলের উন্নতি হবে না।

প্রাপ্য সম্মান পেলে নারী ফুটবলাররা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে। নারী ফুটবল দলের বেশিরভাগ সদস্য নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা। তারা ফুটবলকে পেশা হিসেবে নিতেই এখানে এসেছে। ফেডারেশন আমাদের আরও সুযোগ-সুবিধা দিলে মেয়েদের ফুটবলে অবশ্যই ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে। 

লেখক : নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক