কিন্তু এত সুখ সইলো না যে তাদের! ‘অদ্ভুত’ এক নিয়মের জালে আটকা পড়ল জার্মান লিগের ক্লাবটি। বাইরের কোনও ঝামেলা নয়, ঘরের ভেতরকার জট চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার স্বপ্নে দিয়েছে বড় ধাক্কা। ক্লাবের মালিক এক হওয়ায় ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসরে নাও খেলা হতে পারে লিপজিগের। তাদের মালিকের অন্য ক্লাবও যে নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ।
সমস্যাটা বেঁধেছে এখানেই। উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, একই মালিকের দুই ক্লাব নির্দিষ্ট কোনও মৌসুমে খেলতে পারবে না একসঙ্গে। লিপজিগের মালিক বিশ্বখ্যাত এনার্জি ড্রিংস প্রতিষ্ঠান ‘রেড বুল’-এর মালিকানাধীন অস্ট্রিয়ান ক্লাব সাল্জবুর্গও পেয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট। তাই নিয়ম অনুযায়ী বাদ পড়তে হবে যে কোনও এক ক্লাবকে। মালিকানা স্বত্ত্বের এই প্যাঁচে পড়ে বাদ পড়ার সম্ভাবনা বেশি লিপজিগেরই। কারণ বুন্দেসলিগায় তারা হয়েছে দ্বিতীয়, অন্যদিকে সাল্জবুর্গ টানা চতুর্থবারের মতো জিতেছে অস্ট্রিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। অবশ্য এখনও কোনও কিছু চূড়ান্ত নয়, সামনের মাসে উয়েফার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কোনও এক দল খেলবে নাকি দুই দলই সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে।
এখন কথা হচ্ছে, এক মালিকের দুই ক্লাব একই প্রতিযোগিতায় খেললে কী এমন অসুবিধা? উয়েফা মনে করে, একই মালিকের ক্লাব যদি একই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়, তাহলে যে কোনও একটা পর্যায়ে গিয়ে তারা মুখোমুখি হয়ে যাবে। তখন মালিকানা একই হওয়ায় ম্যাচটি ‘প্রাণ’ হারাতে পারে এই আশঙ্কায় নিয়মটি করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
লিপজিগ ও সাল্জবুর্গই প্রথম নয়, এর আগেও একই মালিকানা স্বত্ত্বে ঝামেলায় পড়েছে আরও ক্লাব। ১৯৯৮ সালের ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় তো স্পার্তা প্রাগ ও এইকে এথেন্সের খেলাই হয়নি! দুটো ক্লাবের মালিক ছিল একই-‘এরিক কোম্পানি’। ২০০৪ সালে একই ঝামেলায় পড়েছিল চেলসি ও সিএসকেএ মস্কো, যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্র ভাগ্য মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল দুই ক্লাবকে। সিএসকেএ’র বড় অংশের শেয়ার ছিল ইংলিশ ক্লাবটির মালিক রোমান আব্রামোভিচের।
/কেআর/