পিএসজির গোলোৎসব, জিতেছে ম্যানইউ-বায়ার্ন

গোলের পর নেইমারের উল্লাসগোল পেয়েছেন নেইমার, স্কোরশিটে নাম তুলেছেন কাইলিয়ান এমবাপে ও এদিনসন কাভানিও। আক্রমণভাগের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্যারিস সেন্ত জার্মেইও করেছে গোলোৎসব। অ্যান্ডারলেখটকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে এসেছে ফরাসি ক্লাবটি ৪-০ গোলে। দাপুটে জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখও। ঘরের মাঠে ব্যাভারিয়ানরা ৩-০ গোলে হারিয়েছে সেল্টিককে। বেনফিকার মাঠ থেকে আবার গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১-০ গোলের জয়ে।

অ্যান্ডারলেখটের মাঠে পিএসজি এগিয়ে যায় শুরুতেই। ম্যাচ ঘড়ির তৃতীয় মিনিটে তাদের লিড এনে দেন এমবাপে। বিরতিতে যাওয়ার আগে আবার ব্যবধান দ্বিগুণ করে কাভানি জাল খুঁজে পেলে। ৪৪ মিনিটে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফরাসি ক্লাবটি। এমবাপে-কাভানি গোল পেয়েছেন, সেখানে নেইমার লক্ষ্যভেদ করতে না পারলে স্কোরশিটটা বেমানানই থাকতো! ৬৬ মিনিটে তাই লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিলিয়ান তারকা পূর্ণ করেন তার ঘর। আর ৮৮ মিনিটে আনহেল দি মারিয়া বেলজিয়ামের ক্লাবটির কফিনে শেষ পেরেকটি মারলে ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

থোমাস ম্যুলারের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্নআলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় সেল্টিকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবারও বায়ার্নের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন ইয়ুপ হেইঙ্কেস। অবসর ভেঙে ব্যাভারিয়ানদের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ম্যাচেই তিনি পেয়েছেন দাপুটে জয়। ১৭ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন থোমাস ম্যুলার। এরপর ২৯ মিনিটে কিমিচের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। আর ৫১ মিনিটে ম্যাট হামেলসের লক্ষ্যভেদে ৩-০ গোলের জয় পায় বায়ার্ন।

ম্যানইউয়ের জয়ের ব্যবধানটা অবশ্য বড় নয় তাদের মতো। তবে বেনফিকার মাঠ থেকে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাই অনেক বড় ব্যাপার। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মার্কাস রাশফোর্ড। ওই গোলটাই জয় এনে দেয় ‘রেড ডেভিলদের’।