সাফ শ্রেষ্ঠত্বের স্বপ্ন কিশোরী ফুটবলারদের

কোচ-কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিশোরী ফুটবলাররাসংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের দুই পাশে রেখে আশার বাণী শোনালেন বাংলাদেশ দলের কোচ-কর্মকর্তারা। আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে মেয়েদের প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতার চারটি দল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান। স্বাগতিকদের কোচ-কর্মকর্তা সহ প্রত্যেকে ফুটবলার শিরোপা স্বপ্নে বিভোর।

বাংলাদেশ দলের ২৩ সদস্যের ১১ জন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে অংশ নিয়েছিল। দলে নতুন মুখ দুজন- মিডফিল্ডার শামসুন্নাহার ও গোলরক্ষক সাগরিকা।

শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন১৭ ডিসেম্বর টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। ১৯ ডিসেম্বর ভুটান ও ২১ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিকরা। চারটি দল লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের মুখোমুখি হওয়ার পর ২৪ ডিসেম্বর পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সাফেও শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, ‘মেয়েরা খেলার মধ্যেই আছে। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। প্রতিযোগিতার তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমরা আগেও খেলেছি এবং জিতেছি।’

মারিয়া আর আঁখির চোখেও শিরোপা-স্বপ্নমিডফিল্ডার মারিয়া মান্ডাও আশাবাদী, ‘দেশের মাটিতে ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। ২০১৫ সালে নেপাল আর গত বছর তাজিকিস্তানে দুটো অনূর্ধ্ব-১৪ টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়েছিলাম আমরা। তাই তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঘরের মাঠে খেলা হলেও আমাদের ওপরে কোনও চাপ নেই।’

গত সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ প্রতিযোগিতার মূল পর্বে দুর্দান্ত খেলেছিল দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ঢাকায় সাফের লড়াই নিয়ে তার কথা, ‘প্রথম ম্যাচ জিতলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। দেশের মাটিতে খেলা, তাই বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছি। বিদেশে আমরা ভালো খেললেও তা দেশের মানুষ দেখেনি। এবার বাংলাদেশের মানুষকে ভালো খেলা উপহার দিতে চাই।’