‘আমি কখনও নীতির সঙ্গে আপস করি না’

জাকারিয়া বাবুবিজেএমসিকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন কোচ জাকারিয়া বাবু। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে মাঝামাঝি অবস্থানে ছিল তার দল। কিন্তু ফিরতি পর্বে বিজেএমসির ভীষণ করুণ অবস্থা। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে তারা, অন্যটি ড্র। রবিবার মোহামেডান-বিজেএমসি ১-১ গোলে ড্র ম্যাচে ডাগ আউটে ছিলেন না জাকারিয়া বাবু। গত ১৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছেন তিনি।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে এএফসি ‘এ’ লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচ জাকারিয়া বাবু বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ লিখেছি। গত ৯ ডিসেম্বর বিজেএমসির হয়ে আমার শেষ ম্যাচে ডাগ আউটে ছিলাম, ১৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেছি। আসলে ফিরতি পর্বে দলের ফল ভালো হচ্ছিল না। কাজটা উপভোগ করতে পারছিলাম না, তাই ছেড়েই দিলাম। উপভোগ না করলে কোনও কাজ করে আনন্দ পাওয়া যায় না।’
অনেক সময় দেখা যায়, লিগের ফিরতি পর্বে একাধিক দল পয়েন্ট কেনা-বেচার ‘খেলা’য় মেতে ওঠে, অবশ্য তা সুকৌশলে। তবে জাকারিয়া বাবু এ বিষয়ে কিছু জানেন না, ‘টিম ভালো করছিল না, তাই স্বেচ্ছায় চলে গেছি। ফিরতি পর্বে কী হয়েছে আমি জানি না। আমি কোনও নোংরামির মধ্যে থাকি না। প্রথম দিকে পয়েন্ট পেয়ে যাওয়ায় খেলোয়াড়দের মধ্যে শিথিলতা চলে এসেছে, তাই কাজ করে মজা পাচ্ছিলাম না। আমি এসব (পাতানো ম্যাচ) নিয়ে কাজ করি না।’
লিগের মাঝারি শক্তির দলগুলোর ‘শিথিলতা’ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘অনেক সময় দেখা যায়, প্রথম পর্বে যথেষ্ট পয়েন্ট পেলে একটি দলের মধ্যে সিরিয়াসনেস কমে যায়। অল্পতে খুশি হয়ে যায় দলটির খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। বিজেএমসি রেলিগেশন থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছে, তাই দলের সবাই খুশি, সন্তুষ্ট। লিগের ফিরতি পর্বে এ কারণেই তারা পয়েন্ট কম পাচ্ছে।’
নিজের নীতিতে অটল জাকারিয়া বাবুর শেষ কথা, ‘আমি নিজের নীতি নিয়ে চলার চেষ্টা করি। ভালো কাজ হলে করবো, না হলে করবো না। আমি কোনও খেলোয়াড় কিংবা টিমের সঙ্গে আপস করি না। যতদিন কোচিং করবো, কেউ সামনে এসে কথা বলতে পারবে না। বলতে পারবে না, এই ব্যক্তিকে কিছু দিয়ে সন্তুষ্ট করেছি। যতদিন কাজ করবো, নিজের নীতি নিয়ে থাকবো। নীতির বাইরে কোনও কাজ করবো না।’