‘মেসি আমাদের দলে থাকলে...’

ম্যাচ শেষে লুই সুয়ারেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনেচোখ ধাঁধানো ফ্রি কিকে লিওনেল মেসি আরেকবার জয় করে নিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের মন। সবার নয় কিন্তু! অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে হয়েছেন চোখের কাঁটা। তার ওই ফ্রি কিক গোলেই তো ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।

খালি চোখে মেসিই গড়ে দিয়েছেন বার্সেলোনা ও অ্যাতলেতিকোর পার্থক্য। আর সেটা ডিয়েগো সিমিওনের চেয়ে কে-ই বা ভালো বুঝছেন। মাদ্রিদের ক্লাবটির কোচের মতে, মেসি অ্যাতলেতিকোর জার্সি পড়লে ম্যাচটি তারাই জিততেন একই ব্যবধানে।

প্রথমার্ধে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। অ্যাতলেতিকোর মানব দেয়ালের উপর থেকে ভাসতে ভাসতে বল জড়িয়ে যায় জালে। সফরকারীদের গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাকের হাতে ছোঁয়া লাগলেও শটে এতটা গতি ছিল যে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই গোলটাই বার্সেলোনাকে এনে দেয় গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট। হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়ে সিমিওনের আক্ষেপ, ‘যদি মেসি আমাদের সঙ্গে থাকতো ও অ্যাতলেতিকোর জার্সি গায়ে জড়াতো, তাহলে আমরাই ম্যাচটি ১-০ গোলে জিততাম। মেসি বিস্ময়কর খেলোয়াড়, ও ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। কোনও সন্দেহ নেই আমরা আমাদের লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি ছিলাম।’

বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলে অ্যাতলেতিকোর শিরোপা জয়ের আশা উজ্জ্বল হতো। ব্যবধান থাকতো তখন মাত্র ২ পয়েন্টের। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্র করে গেলেও ব্যবধান থাকতো আগের মতোই ৫ পয়েন্টের। তখনও তারা থাকতো শিরোপা জয়ের দৌড়ে। তবে এই হারটা সেই পথে বড় এক ধাক্কা।

সিমিওনেও মেনে নিচ্ছেন এই বাস্তবতা, ‘গত ১৪ বছর ধরে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, সেই পরিসংখ্যানের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমাতে আমরা কী না করেছি। অসম্ভব এই ব্যাপারটি আমরা করেছিও (২০১৩-১৪ মৌসুমের শিরোপা জিতে), আর এটার পুনরাবৃত্তি করাটা কঠিন।’ মার্কা