রবিবার ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপর প্যারিসে আনন্দের ঢল নেমেছিল বিকালে। বাধভাঙা সেই উদযাপন হঠাৎ করে রূপ নেয় সহিংসতায়। সেটা ঠেকাতে পুলিশ ছুড়েছে কাঁদানে গ্যাস, তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষুব্ধ ভক্তের কিছু অংশ।
বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজার পরপরই চ্যাম্পস এলিসিসে আনন্দের জোয়ার নামে। লাখ লাখ ফরাসি রাস্তায় নেমে পরে শিরোপা উদযাপন করতে। প্যারিসের এই আইকনিক ভেন্যুতে হাজার হাজার ভক্ত একত্র হতে থাকে।
কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে যেতেই ভক্তরা বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে। বেশ কয়েকটি জায়গায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের থামাতে ১ লাখ পুলিশ মাঠে নামে। ৪৪ হাজার অগ্নিনির্বাপণ কর্মী যোগ দেন এই বিশৃঙ্খলা ঠেকানোর কাজে।
শিরোপা জয়ের উল্লাস করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দুই জন। পুলিশ জানায়, ফ্রান্সের জয় উদযাপন করতে গিয়ে খালে লাফ দিয়ে ৫০ বছর বয়সী একজন নিহত হয়েছেন। ফ্রান্সের সেন্ট ফেলিক্স শহরে গাছের সঙ্গে গাড়ি ধাক্কা লাগায় ত্রিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি মারা যান।
সহিংসতার ভিডিও মুছে না ফেলায় কয়েকজন সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। প্যারিসের একটি পানশালায় ভাংচুর করা হয়েছে। ফোনে ছবি তোলা শেষে চ্যাম্পস এলিসিসের একটি দোকানে লুটপাট করেছে মুখোশধারী প্রায় ৩০ জন তরুণ।
পুরো প্যারিস শহরে ছড়িয়ে পড়ে এই দাঙ্গা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে জলকামান ব্যবহার করে।
প্যারিসে একজন মেয়র জ্যা ডি’আউতেসের বলেন, ‘উদযাপন মাটি হয়ে গেছে সহিংসতার কারণে।’
লিওঁতে পুলিশ ও শতাধিক তরুণের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তারা সবাই পুলিশের গাড়িতে উঠে উল্লাস করছিলেন। ন্যান্সিতে ৩ বছরের এক ছেলে ও দুজন ছয় বছরের মেয়ে উদযাপন করতে গিয়ে মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন।
মার্শেইতে অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে সংঘর্ষে নিরাপত্তাবাহিনীর দুজন আহত হয়েছেন জানায় পুলিশের একজন মুখপাত্র। সেখানে উদযাপনকে প্রশমিত রাখতে ৪ হাজার পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রয়টার্স, এক্সপ্রেস ডটকম ইউকে, ইন্ডিপেন্ডেন্ট