নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে মালদ্বীপ

প্রথম গোলের পর অধিনায়ক আব্দুল ঘানিকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মালদ্বীপের খেলোয়াড়রা৯ বছর পর সাফ ফুটবলের আয়োজক বাংলাদেশ, আর ৯ বছর পর টুর্নামেন্টের ফাইনালে মালদ্বীপ। ২০০৯ সালে ঢাকায় সেমিফাইনালে মালদ্বীপ ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। এরপর টানা তিনটি টুর্নামেন্টে শেষ চারে উঠলেও হার মেনেছিল তিনবারই। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ ফুটবল ফিরতেই আবার মালদ্বীপ ফাইনালে। বুধবার বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম সেমিফাইনালে তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে নেপালকে।

বাংলাদেশকে বিদায় করে দেওয়া নেপাল বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। বিপরীতে মালদ্বীপ সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে সহজ জয় পেয়েছে। ম্যাচের প্রথম গোলের জন্ম নবম মিনিটে। অধিনায়ক আকরাম আব্দুল ঘানির বাঁ পায়ের চমৎকার ফ্রি-কিক এগিয়ে দিয়েছে মালদ্বীপকে।

পিছিয়ে পড়ার পর কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল নেপাল, কিন্তু ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ১৭ মিনিটে ভরত খাওয়াজের জোরালো শট চলে যায় মালদ্বীপের গোলকিপার মোহাম্মদ ফয়সালের গ্রিপে। দুই মিনিট পর লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বিমল মাগারের ফ্রি-কিক। ২২ মিনিটে সুনীল বলের ফ্রি-কিক থেকে ভরত খাওয়াজের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গিয়ে আবার হতাশ করে নেপালকে।

ম্যাচের ২৭ মিনিটের সময় বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হলে প্রায় আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। ফের খেলা শুরু হলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও ভরত-বিমলদের ব্যর্থতায় নেপাল গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল নেপালের হতাশার গল্প। বিমল-সুনীলের পাশাপাশি বদলি নবযুগ শ্রেষ্ঠাও গোল মিস করেছেন। অবশ্য মালদ্বীপের গোলকিপার ফয়সালের কৃতিত্বও কম নয়।

৮৪ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় মালদ্বীপ। আসাদুল্লাহ আব্দুল্লাহর শট শ্রীলঙ্কার এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল এসে পড়ে বক্সের ভেতরে থাকা ইব্রাহিম হাসানের পায়ে। তার জোরালো শটেই দ্বিগুণ হয়ে যায় ব্যবধান। দুই মিনিট পর ইব্রাহিম আবার গোল করলে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় মালদ্বীপের।