বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম আক্রমণটি ছিল শেখ রাসেলের। ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলামের আড়াআড়ি পাস থেকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওডোয়িনের ব্যাক হিল কর্নারের বিমিয়ে রক্ষা করেন বসুন্ধরার গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো।
১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়াসের জোরালো শট পরাস্ত করে শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানাকে।
পিছিয়ে পড়ে বসুন্ধরার রক্ষণভাগে ঝাঁপিয়ে পড়ে শেখ রাসেল। কিন্তু ওডোয়িনের দুটি এবং ইয়ামিন আহমেদ মুন্নার একটি প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এর মধ্যে জিকো সেভ করেছেন দুটি শট।
বিরতির ঠিক আগেই অবশ্য সমতা চলে আসে ম্যাচে। এবার দলকে হতাশ করেননি ওডোয়িন। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের জোরালো শট জিকোকে বোকা বানিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুটো ভালো সুযোগ পেয়েছিল শেখ রাসেল। ৬৭ মিনিটে ওডোয়িনের শট ঠেকিয়ে দেন ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দীন। ৭৬ মিনিটে আবার ওডোয়িনের ব্যর্থতা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ডি সিলভার ক্রসে তিনি পা ছোঁয়াতে পারেননি।
নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে শেষ হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৫ মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোলদাতা মতিন মিয়া। শেখ রাসেলের বিপলু আহমেদের কাছ থেকে বল কেড়ে, বক্সে ঢুকে গোলকিপার রানাকে পরাস্ত করেন এই বদলি ফরোয়ার্ড।
এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর দুটো সুযোগ পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু ভিনিসিয়াস ও কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দানিয়েল কোলিনদ্রেস দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেননি। তাতে অবশ্য ক্ষতি হয়নি বসুন্ধরার, ২-১ ব্যবধান ধরে রেখে বছরের শেষ টুর্নামেন্ট জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে তারা।