জাপানে এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক নাও হতে পারে। আগামী ২৪ জুলাই টোকিওতে উদ্বোধন হওয়ার কথা এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞের।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সিনিয়র সদস্য ডিক পাউন্ড বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে টুর্নামেন্ট স্থগিত বা স্থানান্তরের চেয়ে বাতিল করবেন তারা। টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা থাকলে দুই বা তিন মাস আগেই তা জানাবে জাপান সরকার ও আইওসি।
অর্থাৎ ডিকের কথানুযায়ী মে মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে, ‘যদি বাতিল করতে হয়, সেটা অবশ্যই দুই মাস আগে। কারণ অনেক কিছুর ব্যবস্থা করতে হয়। নিরাপত্তা, খাবার, অলিম্পিক ভিলেজ, হোটেল ও মিডিয়া কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তবে এখনই ওভাবে ভাবতে চান না এ কর্মকর্তা। অ্যাথলেটদের প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করেছেন ডিক, ‘এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, টোকিও অলিম্পিক হচ্ছে। তাই অ্যাথলেটদের প্রস্তুতি ঠিকমতো নিতে হবে। তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, আইওসি আপনাদের কোনও আতঙ্কিত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবে না।’ তিনি জানান, পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আইওসি।
অলিম্পিক শুরুর আগেই ইউরো ফুটবল হবে ইউরোপের ১২ দেশের ১২টি শহরে। ২৪ দলের এ টুর্নামেন্ট হবে ১২ জুন থেকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপেও। চ্যাম্পিয়নস লিগের বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে। তবে এশিয়ার বাইরে হলেও মহাদেশীয় এই ফুটবল প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গত বছর চীনের উহান প্রদেশ থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার, আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার জন। এ ভাইরাসে চীন গত জানুয়ারিতে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল করে। বাতিল হয়েছে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়ান সাইক্লিংও। বাংলাদেশে স্থগিত করা হয় ইসলামিক সলিডারিটি ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপস।