৭ মাসের সন্তানের কাছে যেতে না পারার দুঃখ

স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে মারিও লেমোসআর কিছুদিন আগে হলেই হতো! মারিও লেমোস থাকতে পারতেন দক্ষিণ কোরিয়ায় স্ত্রী হাই জিন কিম ও ৭ মাসের কন্যা সন্তান গাবি লেমোসের সঙ্গে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় আবাহনী কোচের আর কোরিয়া যাওয়া হয়নি। রাজধানীর একটি হোটেলে অনেকটা নিঃসঙ্গ সময় কাটাতে ৩৩ বছর বয়সী পর্তুগিজ কোচকে।

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই। লেমোসের জন্য ১৬ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান টিকিটও কাটা হয়েছিল। কিন্তু করোনার ব্যাপকতায় সেটা আর হয়নি। ৭ মাস বয়সী সন্তানের কাছে যাওয়ার অপেক্ষা তাই দীর্ঘ হয়েছে তার।

লেমোস যে হোটেলে আছেন, সেখানে অতিথিও সেভাবে নেই। বাংলা ট্রিবিউনকে তাই অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বললেন, ‘‘আসলে ভাগ্যটা ভালো না। করোনাভাইরাসের কারণে হোটেলে অনেকটা ‘বন্দি’ সময় কাটাতে হচ্ছে। সেভাবে প্রয়োজন না পড়লে হোটেল থেকে বের হচ্ছি না। ক্লাবেও কম যাচ্ছি। মনে করেছিলাম ১৬ মার্চ কোরিয়ার পাজু শহরে যেতে পারবো। সেখানে স্ত্রী ও কন্যা আছে। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় হোটেলেই সময় কাটছে আমার।”

ঢাকার হোটেলে একাকী লেমোসের মন পড়ে আছে স্ত্রী ও মেয়ের কাছে, ‘মাত্র ৭ মাসের মেয়ে আমার। গত এএফসি কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে গাবির জন্ম। এর মধ্যে একবার শুধু ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে। এই অবস্থা্য় ওকে দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছি। যদিও ভিডিও কল করে আমাদের দেখা হচ্ছে। এখন করোনার কারণে স্ত্রী ও মেয়ের পাশে থাকতে পারলে ভালো লাগতো। ওরা সাহস পেতো। কিন্তু সেটা তো সম্ভব হচ্ছে না।’