থিয়াগো আলকান্তারা এখন লিভারপুলের

লিভারপুলের জার্সিতে থিয়াগো আলকান্তারাসব ঠিকঠাকই ছিল, বাকি ছিল শুধু লিভারপুলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটাও এসে গেল। থিয়াগো আলকান্তারা এখন লিভারপুলের খেলোয়াড়। চার বছরের চুক্তিতে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে যোগ দিলেন ইংলিশ ক্লাবটিতে। দলবদলের অঙ্কটা ২০ মিলিয়ন পাউন্ডের, তবে আনুষঙ্গিক আরও ৫ মিলিয়ন পাউন্ড আছে চুক্তির শর্তে।

বৃহস্পতিবারই থিয়াগোর ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছেছিল লিভারপুল-বায়ার্ন। আর আজ (শুক্রবার) এলো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। অলরেডদের ‘৬ নম্বর’ জার্সি গায়ে জড়াবেন তিনি। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ২৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার লিভারপুলে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত। ইংলিশ ক্লাবের জার্সিতে তার খেলার ইচ্ছা অনেকদিনের।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর লিভারপুলের ওয়েবসাইটে থিয়াগো বলেছেন, ‘এটা অসাধারণ এক অনুভূতি। এই মুহূর্তের অপেক্ষা আমার অনেকদিনের। এখানে (লিভারপুল) আসতে পেরে আমি খুশি। এখন অবশ্যই আমাকে যত দ্রুত সম্ভব এই দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই খোলা চিঠিতে থিয়াগো বিদায় বলেছেন বায়ার্নকে। ইংলিশ ক্লাবে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে বায়ার্নকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। খোলা চিঠিতে সাবেক বার্সেলোনা মিডফিল্ডার লিখেছেন, ‘এই অসাধারণ ক্লাবে (বায়ার্ন) ‍আমার অধ্যায় শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে ক্লাবে গত সাত বছরে আমি বেড়ে উঠেছি এবং নিজেকে পরিণত করেছি একজন খেলোয়াড় হিসেবে। এখানে আমি শিখেছি কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানতে হয়। বিদায় বলছি ঠিকই, তবে ক্লাবকে আমি কখনও ভুলবো না।’

২০১৩ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে থিয়াগো যোগ দিয়েছিলেন বায়ার্নে। সাত বছরের সাফল্যময় ক্যারিয়ারে ২৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জিতেছেন টানা সাতটি বুন্দেসলিগা, চার জার্মান কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ। সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্নও পূরণ হয়েছে গত মৌসুমে।

এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে থিয়াগোকে ঘরে তুললো লিভারপুল। এর আগে অলিম্পিয়াকোস থেকে ইংলিশ ক্লাবটি এনেছে গ্রিক লেফট ব্যাক কোস্তাস সিমিকাস।