ক্রিকেটকে বিদায় বললেন উমর গুল

বিদায়বেলার গার্ড অব অনার দেওয়া হয় উমর গুলকে২০১৬ সালের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা নেই তার। বুঝে গিয়েছিলেন, দেশের জার্সি আর গায়ে জড়ানো হবে না। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন উমর গুল। এবার সেখান থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার।

পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে গুলের দল বেলুচিস্তান। সাউদার্ন পাঞ্জাবের কাছে হারের পর শুক্রবার ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

‘গত দুই দশকে আমার ক্লাব, শহর, প্রদেশ ও দেশের হয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য সম্মানের। আমি ভীষণভাবে ক্রিকেট উপভোগ করেছি, যেটি আমাকে শিখিয়েছে কঠোর পরিশ্রম, সম্মান, প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ়তার মূল্য। এই ভ্রমণে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে, যারা আমাকে কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য করেছেন। ওই সব মানুষের পাশাপশি আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার সতীর্থদের।’- অবসরের ঘোষণায় বলেছেন গুল।

একজন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের পেছনে সমর্থকদের অবদান অনেক। ৩৬ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার বিদায়বেলায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি, ‘আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ ভক্তদের প্রতি, যারা আমাকে পুরো ক্যারিয়ারে সমর্থন দিয়ে গেছেন। তারা অনুপ্রেরণাদায়ী, বিশেষ করে যখন সময় খুব একটা ভালো যায়নি। শেষে, ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবারকে। যারা সবসময় পেছন থেকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।’

২০০২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা গুলের আন্তর্জাতিক অভিষেক পরের বছরই। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে পাকিস্তানের মূল দলের জার্সি গায়ে জড়ান তিনি। তার অভিষেক এমন সময়, যখন ২০০৩ বিশ্বকাপ শেষে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের অবসরে নতুন করে দল গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছিল পাকিস্তান।

২০০৩ সালের এপ্রিলে শারজায় ওয়ানডে অভিষেক হওয়া গুল ওই বছরই গায়ে জড়ান টেস্ট জার্সি। করাচিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শুরু তার টেস্ট যাত্রা। লাল বলের ক্রিকেটে খেলেছেন ৪৭ টেস্ট। ৩৪.০৬ গড়ে উইকেট ১৬৩টি। আর ওয়ানডেতে ১৩০ ম্যাচে পেয়েছেন ১৭৯ উইকেট।

দুর্ধর্ষ ইয়র্কার তাকে টি-টোয়েন্টিতে করে তুলেছিল আরও মূল্যবান সম্পদ। ৬০ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৮৫ উইকেট। এই সংস্করণে গুলের চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল চারজনের- লাসিথ মালিঙ্গা (১০৭), শহীদ আফ্রিদি (৯৮), সাকিব আল হাসান (৯২) ও রশিদ খানের (৮৯)।

২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর থেকে পাকিস্তান দলে জায়গা পেতে লড়াই করতে হয়েছে গুলকে। ২০১৬ সালের পর আর সুযোগই হয়নি দেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর। এতদিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও, সেখান থেকেও বিদায়ের ঘোষণা দিলেন পাকিস্তানি পেসার।