রামোস নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, তাকে ঘিরেই স্বপ্ন!

রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সের্হিও রামোসকে অনুসরণ করেই ফুটবলে বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ ইমনের। এমনকি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নামও রেখেছেন রামোসের নামে! মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ২৩ বছর বয়সী সেই ডিফেন্ডারই এখন জেমি ডের গুড বুকে। জায়গা করে নিয়েছেন ২৪ জনের দলেও।

অবশ্য জাতীয় দলে জায়গা পেলেও ফুটবল খেলার জন্য নিজের পড়াশোনাটাও ঠিকমতো করতে পারেননি ইমন। সপ্তম শ্রেণিতে এসে থেমে গেছে সেসব। অবশ্য এর পেছনে দায়ী ছিল ফুটবলের প্রতি তার দুর্দমনীয় আকর্ষণ। তাই পড়াশোনা ও ফুটবল এক সঙ্গে চালাতে পারেননি। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসায় ছেড়ে দেন পড়াশোনাকেই! সে জন্য বাবা ও মায়ের একমাত্র সন্তানকে কম কটূ কথা শুনতে হয়নি।

ইমন নিজেই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘দেখা যেতো বেশিরভাগ সময় অনুশীলন হতো বিকালে। স্কুল শেষ করে অনুশীলন করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়তো আমার জন্য। তাই পড়াশোনার চেয়ে ফুটবলকে বেছে নিয়েছি। সপ্তম শ্রেণির পর আর লেখাপড়া সম্ভব হয়নি।বাবা-মা এই জন্য কম বকা দেননি।’

তবে এখন ফুটবল খেলেই সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। জাতীয় দলের ক্যাম্পেও যোগ দিয়েছেন। সফল হওয়াতেই বাবা মোহাম্মদ মোস্তফা ও মা মোর্শেদা বেগম খুব খুশি। ইমন বলেছেন, ‘জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি শুনে বাবা ও মা অনেক আনন্দিত। তারা চাইছেন আমি যেন আরও বড় জায়গায় যেতে পারি।’

রিয়াল মাদ্রিদ তারকা সের্হিও রামোসকে আদর্শ মানার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইমন জানালেন, ‘রামোস একজন পুরোদস্তুর ডিফেন্ডার। আমিও একই পজিশনে খেলে থাকি। তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে থাকি। তাই তো আমার ফেবসুক আইডি তার নামে।’

মুক্তিযোদ্ধায় তিন মৌসুম খেলার আগে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলেছেন ইমন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার এই ডিফেন্ডার চাইছেন জাতীয় দলে স্থায়ী হতে, ‘আমার লক্ষ্য হলো জাতীয় দলের একাদশে জায়গা করে নেওয়া। যেন নিয়মিত খেলতে পারি। এখন তো তপু ও ইয়াসিন ভাই নেই। ভালো পারফর্ম করতে পারলে তখন হয়তো সুযোগ আসবে সেই পজিশনে খেলার।’