লা লিগা জেতার ইচ্ছাই তো নেই বার্সেলোনার!

পেন্ডুলামের মতো ঝুলছে লা লিগা শিরোপার ভাগ্য। যেখানে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী- আতলেতিকো মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। তালিকা থেকে এখন বার্সেলোনাকে বাদ দেওয়ারই ভালো। অঙ্কের হিসাবে হয়তো স্প্যানিশ লিগের শ্রেষ্ঠত্ব জেতার সুযোগ এখনও আছে, কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে সেই সম্ভাবনা খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। লিগ শিরোপা জেতার ইচ্ছাটাই তো নেই তাদের!

এবারের মৌসুমে লিগের দিকে তাকালে দেখা যাবে, শীর্ষস্থানে ওঠার কতবার সুযোগ এসেছে বার্সেলোনার সামনে। কিন্তু কাতালান ক্লাবটি যেন পণ ধরে বসে আছে- আর যাই হোক শীর্ষে আমরা বসবো না! অতদূরে যাওয়ার দরকার নেই, তিন রাউন্ড আগের খেলাতেই নজর দিন। আতলেতিকো ও রিয়াল পয়েন্ট খোয়ালে শীর্ষে ওঠার দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি হয় তাদের। কিন্তু হায়, ঘরের মাঠেই কিনা গ্রানাদার কাছে ২-১ গোলে হারলো রোনাল্ড কোম্যানের দল। অথচ ওই ম্যাচ জিতলে শিরোপার পথে বড় ধাপ ফেলতে পারতো তারা।

এতকিছুর পরও শীর্ষস্থান দখলের সুযোগ এসেছিল মঙ্গলবার রাতে। লেভান্তের মাঠে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকায় জয়টা তাদের সময়ের অপেক্ষা মনে হচ্ছিল। অথচ সেই ম্যাচটি কিনা শেষ হলো ৩-৩ গোলের ড্রতে! অর্থাৎ, আবারও পয়েন্ট হারালো বার্সেলোনা। ফলে, ৩৬ ম্যাচ শেষে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ওঠা হলো ঠিকই, কিন্তু শীর্ষে যাওয়া হলো না। এক ম্যাচ কম খেলে আতলেতিকো ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে ধরে রাখলো লিগ টেবিলের এক নম্বর জায়গা।

লেভান্তের মাঠে লিওনেল মেসির ঝলকে প্রত্যাশিত শুরু পেয়েছিল বার্সেলোনা। ২৫ মিনিটে চমৎকার ভলি থেকে জাল খুঁজে নিয়ে সফরকারীদের এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। মিনিট নয়েক পর আবারও বার্সেলোনার উৎসব, এবারের উপলক্ষটি পেদ্রির সৌজন্যে। ২ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়ার সময় মোটামুটি ৩ পয়েন্ট ধরে নিয়ে শীর্ষে ওঠার হিসাব কষে ফেলেছিলেন বার্সেলোনা সমর্থকরা।

কিন্তু ম্যাচের তখনও অনেক কিছু বাকি। দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটের ঝড়ে স্কোরলাইন ২-২ করে নেয় লেভান্তে। ৫৭ মিনিটে গনসালো মেলেরোর লক্ষ্যভেদের পর জাল খুঁজে নেন হোসে লুইস মোরালেস। যদিও ৬৪ মিনিটে বুলেট গতির শটে উসমান ডেম্বেলে বল জালে জড়ালে আবারও লিড নেয় বার্সেলোনা। সেই লিডও ধরে রাখতে পারেনি কোম্যানের দল। রক্ষণের দুর্বলতায় ৮৩ মিনিটে বার্সেলোনা খেলোয়াড়দের হতাশ করে ম্যাচে সমতা ফেরান সের্হিয়ো লেওন।

বার্সেলোনার বাকি থাকলো আর দুই ম্যাচ। লিগ শিরোপা এখন আর তাদের হাতে নেই। ভাগ্য আর আতলেতিকো-রিয়ালের হার কামনা ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই তাদের। এবং বাকি থাকা ম্যাচ দুটি তো জিততে হবে অবশ্যই!