লুকাকুর জোড়ায় দারুণ শুরু বেলজিয়ামের

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বেলজিয়ামের অবস্থান সবার ওপরে। এবারের ইউরোতে ফেভারিটের মধ্যে অন্যতম এডেন হ্যাজার্ড-কোর্তোয়াদের দল। ‘বি’ গ্রুপে তাদের শুরুটাও হলো দেখার মতো। রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে বেলজিয়াম ৩-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে রাশিয়াকে।

বেলজিয়াম ১৯৮০ সালে একবারই ইউরোতে ফাইনালে খেলেছিলো। তবে ট্রফি জেতা হয়নি, রানারআপ হয়েই সেবার সন্তুষ্ট হতে হয়েছিলো। এবার এই দলে পরীক্ষিত ফুটবলারই বেশি। বিপরীতে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে রাশিয়ার অবস্থান ৩৮তম। সেন্ট পিটার্সবার্গে নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠতে পারেনি।

ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। ম্যাচের ১০ মিনিটে গোলও পেয়ে যায়। রোমেলু লুকাকু বক্সের ভেতরে বল পেয়ে বাম পায়ে নিখুঁতভাবে জাল কাঁপান। অবশ্য এই গোল হজমের পেছনে রাশিয়ার ডিফেন্ডারদের দায় কম নয়। কেউই ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি।

গোল দিয়ে লুকাকু সাইড লাইনের ক্যামেরার সামনে এসে ক্লাব ফুটবলে ইন্টার মিলানের সতীর্থ ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললেন, ‘ক্রিস আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ 

এর আগে ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড ম্যাচে ৪৩ মিনিটের সময় মাঠেই হঠাৎ করে ভেঙে পড়েন এরিকসেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই তারকা। অবশ্য তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে।

খেলার ৩৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বেলজিয়াম। সতীর্থ একজনের বাম প্রান্ত থেকে নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন রাশিয়ার গোলকিপার। কিন্তু তাতে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। সামনে থাকা টমাস মিউনিয়ার ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে আবারও এগিয়ে নেন।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কারাসকোর শট বারের সামান্য ওপর দিয়ে গেলে গোলের দেখা আর মেলেনি।

বিরতির পর রাশিয়াও কিছুটা গোছালো খেলতে থাকে। কিন্তু বলার মতো সেভাবে আক্রমণ করে উঠতে পারেনি স্বাগতিকদের কেউই।

আর সুযোগ পেয়েই আক্রমণে উঠে আসে বেলজিয়াম। শেষ দিকে আবারও সাফল্য পায় তারা। ৮৮ মিনিটে ফের গোলের দেখা পান লুকাকু। মধ্যমাঠের একটু ওপর থেকে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এই স্ট্রাইকার। আর এতেই রাশিয়া পুরোপুরি ছিটকে যায়। বিশ্বকাপের পর থেকে এই নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১৯ ম্যাচে ২২ গোল লুকাকুর। আর সবমিলিয়ে ৯৪ ম্যাচে ৬২ গোল।