বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভেঙে ইতালি সেমিতে

ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে অন্য এক ইতালিকে দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচেই খুনে মেজাজে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন বনুচ্চি-ইনসিনিয়ে। দ্বিতীয়  কোয়ার্টার ফাইনালে অন্যতম ফেভারিট বেলজিয়ামের বিপক্ষে তো রক্ষণ জমাট রেখে অল আউট খেলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভেঙে ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে রবার্তো মানচিনির দলটির সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ তিন বারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন।

আলিয়াঞ্জ এরিনাতে শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থেকে ইতালি আক্রমণে যায়। প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে ব্যস্তও থেকেছে। প্রথমার্ধেই ম্যাচের তিনটি গোল হয়েছে। যদিও ম্যাচের ১৩ মিনিটে ইতালির বনুচ্চির প্রচেষ্টা জালে জড়ালে অফসাইডের কারণে গোলের বাঁশি বাজেনি।

বেলজিয়াম অবশ্য নিজেদের রক্ষণ সামলিয়ে পাল্টা আঘাত হানার চেষ্টা করেছে। দুটি সুযোগ ছিল দেখার মতো। কিন্তু গোলকিপার দোনারুম্মার দৃঢ়তায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

২২ মিনিটে ডি ব্রুইনের শট পোস্টে ঢোকার মুহুর্তে গোলকিপার হাত দিয়ে প্রতিহত করেন।চার মিনিট পর লুকাকু বক্সে ঢুকে বা পায়ের শট নিলেও গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।

একটু পরই ইতালির ইনসিগনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৩১ মিনিটে ১৯৬৮ চ্যাম্পিয়নরা ঠিকই উল্লাসে মেতে উঠে।নিকোলো বারেল্লা গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।ভেরাত্তির পাসে বক্সের ভিতরে দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন এই মিডফিল্ডার।

বিরতির ঠিক এক মিনিট আগে রবার্তো মানচিনির দল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো বাঁকানো শটে জাল কাঁপান ইনসিনিয়ে।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে বেলজিয়াম ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। যোগ করা সময়ে সফল হয়েছে। দোকুকে বাধা দেন লরেঞ্জো। পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। রোমেরো লুকাকু পেনাল্টি থেকে গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন।

বিরতির পর ইতালির আক্রমণে তেজ কমেনি। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বেলজিয়ানরাও। কিন্তু এই অর্ধে কোনও দলই গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেনি। তবে বেলজিয়াম ৬১ মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি। ব্রইনের ক্রসে লুকাকু লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ। ৮ মিনিট পর সতীর্থের ক্রস থেকে লুকাকু পোস্টের সামনে থেকে হেড করতে পারেননি।

আর মানচিনির ইতালি তো এই অর্ধেও আক্রমণ করে গেছে। স্পিনাজোলা ও বেরেল্লারা সুযোগ নষ্ট করেছেন। ফিনিসিং ব্যর্থতায় গোল পাওয়া হয়নি। আবার বেলজিয়ান গোলকিপার কোর্তোয়ার অবদানও কম নয়। তেকাঠির নিচে ছিলেন সজাগ।

তবে এই অর্ধে ইতালি গোল করতে না পারলেও সমস্যায় পড়তে হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে স্কোরলাইন রেখে মানচিনির দল শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে। আর এরই সঙ্গে বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মদের শিরোপা স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হলো।