ঢাকাতেও রোনালদোদের কাছে হারের বর্ণনা দিতে হলো গ্রান্টকে

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেছে আব্রাহাম গ্রান্ট ঢাকায় পা রেখেছেন। ইসরায়েলে জন্ম নেওয়া পোলিশ নাগরিক আবার ইংলিশ জায়ান্ট চেলসির একসময় কোচও ছিলেন। এখানে এসেই বাংলাদেশ ফুটবলের অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখছেন। ইসরায়েল ও ঘানা জাতীয় দলে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকায় আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কথা বলতে গিয়ে ৬৬ বছর বয়সী গ্রান্টকে ফিরে যেতে হয় ১৩ বছর আগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের দিনটিতেও! 

২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি। মস্কোতে ১-১ গোলে নির্ধারিত সময়ের লড়াইয়ের পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৬-৫ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ইউনাইটেড। সেই দলে ছিলেন রোনালদো-তেভেজরা। আর ল্যাম্পার্ড-দ্রগবাদের নিয়ে হেরে যায় আব্রাহাম গ্র্যান্টের দল চেলসি। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই গ্রান্ট পিছনে ফিরে তাকালেন, ‘সেটি ছিল চেলসির জন্য দারুণ এক মৌসুম। আমরা চাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল জেতার যোগ্য দাবিদার ছিলাম। কিন্তু ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে যাই। সত্যি বলতে সেদিন চেলসির জয় প্রাপ্য ছিল। আমার কাছে সেই স্মৃতিটা এখনও অমলিন। যেখানেই যাই, সেই পেনাল্টি শুটআউটে হেরে যাওয়া নিয়ে লোকেরা জিজ্ঞাসা করে।’

সাবেক চেলসি কোচের ঢাকায় আসা প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘গ্র্যান্ট এখানে এসেছেন বাফুফের আমন্ত্রণে। আমাদের ফুটবল অবকাঠামো, আমাদের ফুটবলের সুযোগ–সুবিধা ইত্যাদি দেখবেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ধারণা নেবেন। তারপর ফিরে গিয়ে একটা পরিকল্পনা দেবেন।’

গ্র্যান্ট বাংলাদেশ সফর নিয়ে বলেছেন, ‘আমি এখানে এসে খুশি। আমি ফুটবল ভালোবাসি, ফুটবলেই আছি। বাংলাদেশের ফুটবলে কীভাবে উন্নতি করা যায়, সেটা দেখতেই আসা। আমি দেখছি, এখানে ফুটবলের প্রতি অনেক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা কাজে লাগিয়ে কীভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে, সেটাই দেখার।’