পেনাল্টি মিসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পিছিয়ে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কায় চার জাতি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে হলে এক পয়েন্ট প্রয়োজন বাংলাদেশের। কিন্তু মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিস করে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঠের অবস্থা নাজুক। বল ঠিকমতো পায়ে আসছিল না। অনেক জায়গায় জমে আছে কাদা। এমন অবস্থায় ম্যাচ শুরুর ৩ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগ পায়। কিন্তু রহমতের লম্বা থ্রো-ইন থেকে তপুর হেড লঙ্কান গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করলে এগিয়ে যেতে পারেনি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশ যেন নিজেরাই চাপ নিয়ে নেয়। সেই সুযোগে স্বাগতিকরা কিছুটা তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে।

পঞ্চম মিনিটে স্বাগতিকরা সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু সাসাঙ্গা দিলহারার প্রচেষ্টা দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ২৩ মিনিটে আহমেদ ওয়াসিম রাজিক ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিলেও ক্রসবারের ওপর গেলে স্বাগতিক দর্শকদের হতাশ হতে হয়। তবে এর দুই মিনিট পর তারা ঠিকই লিড নেয়। বক্সের বেশ বাইরে থেকে শ্রীলঙ্কার এক খেলোয়াড়ের শট জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি। সামনে থাকা ফরোয়ার্ড ওয়াসিম রাজিক কিছুটা স্লাইড শটে জাল খুঁজে নেন। এ নিয়ে জার্মান প্রবাসী ফরোয়ার্ডের গোল সংখ্যা ৫টি।

বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের অধিনায়ক ও রেফারিরা

এক গোলে পিছিয়ে পড়া ৪-৩-৩ ফরমেশনে নামা বাংলাদেশ কিছুটা খোলস থেকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করে। ফলে আক্রমণও হয়েছে। ৩২ মিনিটে জামালের কর্নারে তপুর হেড গোললাইন থেকে হাত দিয়ে ফিরিয়ে লালকার্ড দেখেন ডাকসন পুসলাস। পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন তপু।

১০ জনের শ্রীলঙ্কার ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও সমতায় ফিরতে পারেনি। প্রথমার্ধের শেষের দিকে সতীর্থের কর্নার থেকে তপুর হেড গোলকিপার সুজন পেরেরা কোনোমতে প্রতিহত করে দলকে ম্যাচে রাখেন।

বাংলাদেশ একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো, সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, জামাল ভূঁইয়া, আতিকুর রহমান ফাহাদ, মোহাম্মদ হৃদয়, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রাকিব হোসেন, সুমন রেজা।