ওতাবেকের ক্রসবার দুর্ভাগ্য

উজবেকিস্তানের ওতাবেক ফ্রি-কিক নিতে সিদ্ধহস্ত। ম্যাচে শেষ মুহূর্তের এই সুযোগে তাই ‘মাপঝোঁখও’ করে নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তার ফ্রি-কিকের প্রচেষ্টা ক্রস বারে লেগে প্রতিহত হলে শেখ জামালের জয়ের আশাও শেষ হয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে। তাতে স্বাধীনতা কাপে উত্তর বারিধারার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। যদিও ‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ভালো অবস্থানে আছে শেখ জামাল। আর বারিধারা পেলো প্রথম পয়েন্ট।

পুরো ম্যাচে ওতাবেকের ওই একটি প্রচেষ্টাই শেখ জামালের জন্য সুবর্ণ সুযোগ ছিল। এছাড়া সেভাবে আধিপত্য দেখাতে পারেনি। বিপরীতে উত্তর বারিধারা তিন বিদেশি নিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে তারা কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

উত্তর বারিধারা তেমনই একটি সুযোগ প্রথমবার পায় ১০ মিনিটে। কিন্তু বক্সের ভেতরে ঢুকে অধিনায়ক সামিন ইয়াসার জোরালো শট আটকে যায় রক্ষণ দেয়ালে। চার মিনিট পর উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডারের সাইদোস্তন ফজিলভের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান শেখ জামাল গোলরক্ষক নাঈম মিয়া।

৭ মিনিট পর অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। ভালিজনোভ ওতাবেককে দুই হাত দিয়ে চাপ দেওয়ার পর কনুই দিয়ে গুঁতো মেরে বসেন উত্তর বারিধারার পাপন সিং। রেফারি পাপনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে উত্তর বারিধারার মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোস্তফা মাহমুদকে কড়া ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন ওতাবেকও। এর পর ২২ মিনিটে সামিন ইয়াসারের হেড গোলকিপার হাত উঁচিয়ে ফিরিয়ে না দিলে তখনই গোল পেতে পারতো বারিধারা।

প্রতিপক্ষের আক্রমণের তোড়ে শেখ জামাল কিছুটা ধার বাড়ায় প্রথমার্ধের শেষ দিকে। কিন্তু সোহেল রানার ক্রসে গোলমুখ থেকে দুর্বল হেডে সুযোগটি নষ্ট করেন সোহানুর রহমান সোহান।

বিরতির পর অবশ্য দু’দলের খেলাতে তেমন চেনা ধার ছিল না বললেই চলে। দুই গোলকিপারকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি কেউ। তবে শেষের দিকে শেখ জামালের কিছুটা চেষ্টা দেখা গিয়েছিল। ৮০ মিনিটে শেখ আতিকুজ্জামানের ভাসানো ক্রসে সলোমন কিং দুর্বল হেড করলে তা জমা পড়ে গোলকিপারের হাতে। ৪ মিনিট পর আবারও কিংয়ের দুর্বল শট গিয়ে লাগে গোলকিপারের তালুতে। কেউ লক্ষ্যভেদে সফল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দুই দল এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।