জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার

এই পুরস্কার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিলো: কাজী নাবিল

একজন খেলোয়াড় বা সংগঠক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়ে থাকেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এবার ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের জন্য ৮৫ জন সেরা খেলোয়াড় ও সংগঠককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের অন্যতম বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক কাজী নাবিল আহমেদ। ২০১৯ সালের সংগঠক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

বুধবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার পেয়ে কাজী নাবিল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার পেয়ে দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

মেডেল ও সম্মাননা হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত কাজী নাবিল বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কৃতজ্ঞ সবার কাছে। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। আবাহনীর সব খেলোয়াড় ও সমর্থকের কাছেও। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা সার্থক হয়েছে।’

এই ক্রীড়া পুরস্কার সামনের দিকে কাজ করতে আরও উদ্দীপনা জোগাবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চতুর্থবারের মতো সহ-সভাপতি কাজী নাবিল, ‘এই পুরস্কার আমাকে আরও উদ্দীপনা দেবে। সামনের দিকে আমাদের খেলাধুলাকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।’

মেডেল ও সম্মাননা হাতে কাজী নাবিল আহমেদকাজী নাবিল ২০০৪ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত। আবাহনীর ফুটবল কমিটিতে আছেন। বাফুফের সহ-সভাপতি ছাড়াও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনেও একই পদে রয়েছেন।

তবে দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে কখনও পুরস্কারের জন্য কাজ করেননি কাজী নাবিল। তার কথায়, ‘আমি ২০০৪ সালে সংগঠক হয়ে আবাহনী লিমিটেডের ফুটবল দল নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছি। কোনও সময় কোনও পুরস্কারের কথা চিন্তা করে কাজ করিনি। আমি কাজ করে গেছি খেলার জন্য, ফুটবলের জন্য, খেলার আনন্দের জন্য, উৎকর্ষ সাধনের জন্য। সর্বোপরি দেশের জন্য। আমি পুরস্কার পেয়েছি এর জন্য কৃতজ্ঞ।’

এবার ৮ বছরের জমে যাওয়া পুরস্কার একদিনে দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতির আহ্বান, প্রতি বছর যেন এই পুরস্কার দেওয়া হয়, ‘একসঙ্গে এবার সবাইকে পুরস্কার দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। তাদের অনুরোধ জানাবো যেন প্রতি বছরের পুরস্কার প্রতি বছরই দেওয়া হয়।’