ইন্দোনেশিয়া চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ

দুই দলই এশিয়ান কাপ বাছাই ফুটবলে অংশ নেবে। তার ওপর ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে এক যুগেরও বেশি সময় পর। যে ম্যাচের লক্ষ্য যার যার অবস্থান সম্পর্কে আগাম একটা ধারণা নেওয়া। পশ্চিম জাভার বান্দুংয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রীতি ম্যাচটি মাঠে গড়াবে।

এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ অনুপ্রেরণা নিতে চাইলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে স্বাগতিকরা বেশ এগিয়ে। তার ওপর চোটের কারণে হাফ ডজন খেলোয়াড় কাবরেরার দলে নেই। ফলে আধিক্য দেখা যাচ্ছে তরুণদের। এই ম্যাচে রক্ষণ থেকে শুরু করে ফরোয়ার্ড জোনে তাদের উপস্থিতি বেশি দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও কাজী তারিক এবং নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সুমন রেজার অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও বিপদের কারণ হতে পারে। বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা অবশ্য বর্তমান দলের ওপরই ভরসা রাখতে চাইছেন। এমনিতে স্প্যানিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশের এটা তৃতীয় ম্যাচ। আগের দুটি ম্যাচেও প্রত্যাশিত ফল আসেনি। বান্দুংয়ে তাই নিজেদের শক্তি দেখানোর প্রত্যাশা।

তবে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান খু্ব একটা সুখকর নয়। ছয় ম্যাচে জয় মাত্র একটি। বিপরীতে হার রয়েছে চারটি। একমাত্র জয়ের সুখস্মৃতি সেই ১৯৮৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। সেবার ঢাকায় বাংলাদেশ ২-১ গোলে জিতেছিল। তাছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়েও পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতোন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে বেশ এগিয়ে ইন্দোনেশিয়া (১৫৯তম)।

ফলে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনা রীতিমত চ্যালেঞ্জই। তবু কাবরেরা চাইছেন ইতিবাচক কিছু হোক। দলের সব খেলোয়াড় যার যার জায়গা থেকে সেরাটা দিক। যেন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে উজ্জীবিত হয়ে দল মালয়েশিয়ায় যেতে পারে। তারুণ্য নির্ভর দলটি কি পারবে কাবরেরার আস্থার প্রতিদান দিতে?