এসএ গেমসে কাটবে কি ফুটবল ব্যর্থতার অধ্যায়?

এক ফুটবলের স্বর্ণ পদকের আলোয় অপসারিত হতে পারে এসএ গেমসসহ অন্যান্য বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে ব্যর্থতার অন্ধকার। সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় ছেদ টানতে কাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় গৌহাটির উদ্দেশে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল।
২০১০ সালে ঢাকার মাঠে ৪-০ গোলে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ১১ বছর পর এসএ গেমসের ফুটবলে স্বর্ণ পদক জয় করেছিল বাংলাদেশ। এরপর কোনও আন্তর্জাতিক ফুটবলের শিরোপা জয় করতে পারেনি ফুটবল দল।

অলিম্পিক বা অনূর্ধ্ব-২৩ দল যাই বলা হোক দলের ২০ জন খেলোয়াড়ের মাঝে ১৪ জনের মাঝেই রয়েছে মূল জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা। ফজলে রাব্বি, আতিকুর রহমান ফাহাদ, শাকিল আহমেদ, রুবেল মিয়া, গোলরক্ষক আনিসুর রহমান ও মো. রাজিব জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাননি। চার ডিফেন্ডার রায়হান হাসান, তপু বর্মন, অধিনায়ক রেজাউল ও ইয়াসিন খান জাতীয় দলের ডিফেন্স লাইনে দাঁড়িয়েছেন অনেকবার। মাঝমাঠের সোহেল রানা, হেমন্ত ভিনসেন্ট, শাহেদুল আলম, মাশুক মিয়া জনি ও জামাল ভূঁইয়া গত কয়েকবছর দেশে-বিদেশে জাতীয় দলের অনেক ম্যাচই খেলেছেন। ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন ও আমিনুর রহমান সজিবও নিয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে গোল করার দায়িত্ব।

উল্লেখ্য, রেজা, জামাল ও জীবন এসএ গেমসে খেলছেন ২৩ বছরের বেশি তিন খেলোয়াড়ের কোটায়।  

সবদিক বিচার করে বলা যায় এসএ গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দলের রয়েছে শিরোপা ধরে রাখার যোগ্যতা তবে মাঠে তো তার প্রতিফলন দেখা যায় না। বেশ কিছুদিন ধরে বারবার ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে আছে বাংলাদেশের ফুটবল। এসএ গেমসে তার ব্যত্যয় হবে কিনা সময়ই দেবে তার উত্তর!

দল:

গোলরক্ষক: রাসেল মাহমুদ লিটন, আনিসুর রহমান জিকো, মোহাম্মদ রাজিব।

ডিফেন্ডার: রায়হান হাসান, তপু বর্মন, রেজাউল করিম, ইয়াসিন খান, ফজলে রাব্বি,

মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, রুবেল মিয়া, শাহেদুল আলম শাহেদ, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, শাকিল আহমেদ, মাশুক মিয়া জনি, জুয়েল রানা, ইউসুফ সিফাত, সোহলে রানা।

ফরোয়ার্ড: আমিনুন রহমান সজিব, নাবিব নেওয়াজ জীবন।

/আরএম/এফআইআর/