আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগেই ভেন্যু তৈরির আশ্বাস ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর

আগামী জুন-জুলাইতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে আনার চেষ্টা করছে বাফুফে। ফিফা উইন্ডোতে বিদেশি আরেকটি টিম নিয়ে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু ম্যাচের সম্ভাব্য ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এখনও সংস্কার কাজ চলায় সেটি নিয়ে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জুন মাসের আগে মাঠ প্রস্তুত হওয়া নিয়ে আছে সংশয়। তবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মঙ্গলবার আশ্বস্ত করেছেন, জুনের আগেই আর্জেন্টিনা ম্যাচের জন্য ভেন্যু অনেকটাই প্রস্তুত হয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরেই। বদলে দেওয়া হচ্ছে পুরো স্টেডিয়ামকে। সবকিছু ঢেলে সাজানো হচ্ছে। জাতীয় হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সবশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঠিকাদার বলেছেন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাক বসানোর কাজ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করে দেবেন। মার্চে মাঠের ভেতরে ঘাস লাগানো হবে। পাশাপাশি শেডের কাজ বাইরে থেকে ক্রেন লাগিয়ে করা হবে। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এপ্রিলের আগেই শেষ করতে।’

মাঠের ভেতরে ঘাস স্থাপন নিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, ‘ফুটবল মাঠে ঘাস নিয়ে বিতর্ক হয়। এই জন্য বাফুফেকে দায়িত্ব দিয়েছি। যেন তাদের উপযোগী করে ঘাস লাগাতে পারে। এপ্রিলে মাঠ বুঝিয়ে দেবে এখন পর্যন্ত আমরা এটাই জানি।’

আর্জেন্টিনা ম্যাচে মাঠে পর্যাপ্ত লাইট লাগবে। মন্ত্রী অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘লাইট লাগানোর জন্য সময় আছে। আসলে সবগুলোর পেছনে আর্থিক বিষয় জড়িত। তা সমাধানের চেষ্টা করছি। জুনের আগেই বুঝিয়ে দেবো।’

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা কাতারের দৃষ্টিনন্দন মাঠে খেলেছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারের পর তেমনটি হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘কাতার আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তাদের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। তবে ২০১১ সালে আর্জেন্টিনাকে যেভাবে স্বাগত জানিয়েছিলাম, আশা করছি তারচেয়ে উন্নত সুবিধা নিয়ে এবার মেসিদের স্বাগত জানাতে পারবো। প্রয়োজনে শেডের কাজ বন্ধ থাকবে, যাতে আর্জেন্টিনা ম্যাচ আয়োজনে সমস্যা না হয়।’