বাংলাদেশ দলে থাকলে দাম আছে, না থাকলে নেই: আনুচিং মগিনি

অলিম্পিক বাছাইকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু হয়েছে জাতীয় নারী ফুটবল দলের। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দুজন ফুটবলারকে। তারা হলেন- সাজেদা খাতুন ও আনুচিং মগিনি। হঠাৎ বাদ পড়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি সাফ জয়ী দলের সদস্য মগিনি। নিজ জেলা খাগড়াছড়ি ফিরে অভিমানে ফুটবলকেই ‘চিরবিদায়’ বলে দিয়েছেন।

২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৪ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক আনুচিংয়ের। এরপর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। জাতীয় দলেও ছিল নিয়মিত পদচারণা। সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্নার মতো ফরোয়ার্ডরা থাকায় খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেতেন না। তার পর তো কঠিন সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন।

জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে এই ফরোয়ার্ড ক্ষোভের সঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘লিগ শেষে কিছু দিন জাতীয় দলের অনুশীলন হয়েছে। তারপর একদিন আমাকে ডেকে বাদ দেওয়ার কথা জানানো হলো। কেন বাদ দেওয়া হলো পরিষ্কার করে কিছু বলা হলো না। আমার কোন জায়গায় সমস্যা সেটা জানতে পারলে ভুল শোধরানো যেত। এখন যেহেতু দলে নেই, তাই ফেরার সুযোগও সেভাবে কম।’

তার পরই কঠিন বাস্তবতার কথা বলেছেন ২০ বছর বয়সী, ‘বাংলাদেশ দলে থাকলে দাম আছে, না থাকলে নেই। ফেরার সুযোগ সেভাবে না থাকায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি অবসর নিয়ে নেবো। ভালো দল না পেলে ঘরোয়া ফুটবলেও আর খেলবো না।’

জাতীয় দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন অবশ্য আশাবাদী কথাই শুনিয়েছেন, ‘নৈপুণ্যর কারণেই জাতীয় দলের ক্যাম্প থেকে আনুচিং মগিনি ও সাজেদা খাতুনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিকট অতীতে তাদের তেমন অগ্রগতি নেই। বিপরীতে নতুনরা ভালো করছে। এই কারণেই তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ দিলেও এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে তারা ঘরোয়া ফুটবলে ভালো করলে অবশ্যই ফেরার সুযোগ পাবে।’