অভিজ্ঞতার কারণে মার্তিনেজের পর্তুগাল দলে রোনালদো

ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমালেও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা পূরণ করার কেউ নেই। সেটা ভালোভাবে জানা আছে পর্তুগালের নতুন কোচ রবার্তো মার্তিনেজের। বিশ্বকাপের নকআউটে ফার্নান্দো সান্তোসের দলে উপেক্ষিত এই ফরোয়ার্ডকে রেখে ইউরো বাছাইয়ের জন্য দল ঘোষণা করেছেন তিনি।

গত বছর কাতার বিশ্বকাপের দলে থাকা কেবল দুজনকে রেখেছেন মার্তিনেজ। তাদের একজন রোনালদো। ২৩ মার্চ লিচটেনস্টেইন ও তিন দিন পর লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে পর্তুগালের ২৬ জনের দলের নেতৃত্বেও আছেন সিআরসেভেন।

মার্তিনেজের পূর্বসূরি সান্তোস বিশ্বকাপে পর্তুগালের শেষ দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন রোনালদোকে। নকআউটে তারা কোনও গোল করতে পারেনি এবং মরক্কোর কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেয় পর্তুগিজরা। তাদের বিদায়ের পর রোনালদোকে না রাখার সিদ্ধান্তের কারণে সমালোচিত হন সান্তোস এবং চাকরিও হারান।

মার্তিনেজ বলেন, ‘জাতীয় দলের প্রতি দায়বদ্ধ একজন খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার মতো একজন খেলোয়াড় অভিজ্ঞতা বয়ে আনে, দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সে। আমি বয়স বা অন্যদিকে তাকাই না। আমি মনে করি দলকে সাহায্য করার সুযোগ তার এবং তার অভিজ্ঞতা অন্য খেলোয়াড়দের মধ্যেও রূপান্তর হবে। আমরা একটি বিজয়ী ও প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ দল হতে চাই।’

লিভারপুল ফরোয়ার্ড ডিওগো জোতা ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। তাকে ফেরানো হয়েছে। দলে জায়গা পেতে তার লড়াই হবে জোয়াও ফেলিক্সের সঙ্গে।

পর্তুগাল স্কোয়াড: ডিওগো কস্তা, জোসে সা, রুই প্যাট্রিসিও, ডিওগো ডালট, জোয়াও কানসেলো, দানিলো পেরেইরা, নুনো মেন্দেস, পেপে, রুবেন দিয়াস, আন্তোনিও সিলভা, গনসালো ইনাসিও, ডিওগো লিয়েতে, রাফায়েল গুয়েরেইরো, জোয়াও পালহিনহা, রুবেন নেভেস, ম্যাথুস নুনেস, বার্নার্ডো সিলভা, ব্রুনো ফার্নন্দেস, জোয়াও মারিও, ওতাভিও মন্তেরিও, ভিতিনহা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গনসালো রামোস, জোয়াও ফেলিক্স, রাফায়েল লিয়াও, ডিওগো জোতা।