সেমির মঞ্চ হওয়ায় কুয়েতের সমীহ পাচ্ছে বাংলাদেশ

একটা সময় এশিয়ার বড় পাওয়ার হাউজ ছিল কুয়েত। সেই দিন গত হয়েছে যদিও। তার পরেও একমাত্র ১৯৮২ বিশ্বকাপে খেলা আরব দেশটা যে শক্তিশালী সেটা টের পেয়েছে স্বাগতিক ভারত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার খেলতে এসেই গ্রুপ সেরা হয়ে তারা সেমির টিকিট কেটেছে। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা এগিয়ে অনেক- বাংলাদেশ ১৯২তম, কুয়েত ১৪১। র‌্যাঙ্কিংয়ে এই পার্থক্যের পরেও লাল-সবুজদের সমীহ দৃষ্টিতে দেখছেন কুয়েতের পর্তুগিজ কোচ রুই বেনতো।

সেমিফাইনালের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার কুয়েতের কোচ বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন এভাবে, ‘শনিবার সেমিফাইনাল। এটি অন্য ম্যাচগুলোর মতোই একটি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ যে গত এক মাসে উন্নতি করেছে, এটা তারই প্রমাণ।’

দুই দলের পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে কুয়েতের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দল দুটি দু’বার মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৭৩ সালে মারদেকার পর ৮৬ এশিয়ান গেমসেও কুয়েতের কাছে হার দেখেছে তারা। তারপরও বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ কোচের সম্মান পাচ্ছে কেন? কারণটা শুনুন কুয়েতের কোচের মুখেই, ‘প্রতিপক্ষকে সব সময় সম্মান করতে হয়। কোনও প্রতিপক্ষকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। যেহেতু এটি সেমিফাইনাল। এখানে তারা যোগ্যতর দল হিসেবেই এসেছে।’

কোচের পাশে বসা কুয়েতি অধিনায়ক আজিজ নাজীও বাংলাদেশকে ছেড়ে কথা বলতে রাজি নন। তার কণ্ঠে সরাসরি ফাইনালের কথাই উচ্চারিত হয়েছে, ‘আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফাইনাল খেলতে চাই। কোনও ছাড় নয়।’