কাতার বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় পাঁচদিন কেঁদেছিলেন নেইমার

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালটা ভীষণ কষ্ট দেয় ব্রাজিল ভক্তদের। শুধু ব্রাজিল ভক্ত কেন? দলটির প্রাণভোমরা নেইমারও কি কম কষ্ট পেয়েছেন? ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে শুরুর গোলটাই করেছিলেন তিনি। যাকে ভাবা হচ্ছিল উইনিং গোল! দুর্ভাগ্য তিন মিনিট বাকি থাকতেই সমতা ফেরায় ক্রোয়াটরা। তার পর টাইব্রেকার ভাগ্যে ছিটকে যেতে হয় পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীদের। দলকে জেতাতে না পেরে টানা পাঁচদিন কেঁদেছিলেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। এমনকি অবসরের কথাও ভেবেছিলেন তিনি!

৩১ বছর বয়সী নেইমার সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ব্রাজিলের নামকরা ইউটিউবার কাসেমিরোকে। সেখানে বলেছেন, ‘আপনাকে বোঝাতে পারবো আমার ভেতর তখন কী চলছিল। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক হার এটি। টানা পাঁচদিন কেঁদেছিলাম। স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ায় তা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত। মনে হচ্ছিল শোকাবহ পরিবেশ। একপাশে একজন কাঁদছে তো অপর পাশেও একই অবস্থা। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন আর হতে চাই না।’

ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছেন নেইমার- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২২ সালে। ২০১৪ সালে সবচেয়ে লজ্জাজনক হারটি পায় তারা ঘরের মাঠে। জার্মানির কাছে সেমিফাইনালে বিধ্বস্ত হয় ৭-১ গোলে। তার আগের রাউন্ডেই মারাত্মক ইনজুরিতে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায় নেইমারের। চার বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাদের অগ্রযাত্রা থামে কোয়ার্টার ফাইনালেই। বেলজিয়ামের কাছে পরাজিত হয় ২-১ গোলে।

কেজ টিভিকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, কাতার বিশ্বকাপের পর অবসরের কথাও ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপের পর সত্যি করে বলতে আমি জাতীয় দলে ফিরতেই চাইনি। কিন্তু এখন মন পরিবর্তন করেছি। কারণ, আমি এখনও ক্ষুধার্ত, ঠিক আছে? মন পরিবর্তন করেছি।’

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাই শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। নেইমার এরই মধ্যে পিএসজির অনুশীলনেও ফিরেছেন। যেখানে তার কোচ লুইস এনরিকে।