এগিয়ে গিয়েও মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি আবাহনী

এএফসি কাপের প্লে অফ পর্বে আবারও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আবাহনী লিমিটেডের। এবার শুরুতে এগিয়ে গিয়েও জয় পেলো না মারিও লেমসের দল। উল্টো নিজেদের ভুলে গোল হজম করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের কাছে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছে। মঙ্গলবার প্লে অফ পর্বে আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ভারতের অন্যতম সেরা দলটি গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টদের আক্রমণের ঢেউ ঠিকমতো সামলাতে পারেনি। গোল হজম করেছে। 

কলকাতার যুব ভারতী তথা সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ম্যাচ ঘড়ির ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। মুজাফফরভের কর্নার থেকে বল এক নাইজেরীয়র পা ঘুরে গোলকিপারের তালু থেকে পড়তেই সামনে থেকে আলতো টোকায় জাল কাঁপিয়েছেন গ্রানাডার কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। তার পর মোহনবাগান গোল শোধে মরিয়া হয়ে লড়াই করতে থাকে। ২৬ মিনিটে লিস্টন কোলাসো বক্সের বাইরে থেকে শট নিলেও শহিদুলের তালুতে জমা পড়লে হতাশ হতে হয় তাদের। পরের মিনিটে সুযোগ ছিল আবাহনীরও। এমেকা ওগবাহের শট গ্রিপে নিয়ে নেন গোলকিপার। ৩২ মিনিটে স্বাগতিকদের সাহাল আব্দুস সামাদকে শট নিতে দেননি শহিদুল।

অবশেষে ৩৬ মিনিটে সমতায় ফেরায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোকে বাধা দিয়েছিলেন সুশান্ত ত্রিপুরা। তাতে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বেজে ওঠে। স্পট কিক থেকে কামিন্স জাল কাঁপালে স্কোরলাইন ১-১ হয়েছে। বিরতিতে যাওয়ার আগে মোহনবাগান দুটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে। আবাহনীও একটি সুযোগ পেয়ে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। শেষ মিনিটে মুজাফফরভের ফ্রি কিকে ইউসেফ পা ছোঁয়ালেও তা পোস্টে লাগলে গোল পাওয়া হয়নি তাদের।  

বিরতির পর অসহায় আত্মসমর্পণ করে আবাহনী। ৫৮ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন মিলাদ শেখ। দুই মিনিট পর মোহনবাগান স্কোরলাইন ৩-১ করেছে। আরমান্দো সাদিকু তৃতীয় গোল করে অতিথিদের ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে দেন।

শেষের দিকে আবাহনী সুযোগ পেয়েও গোল ব্যবধান কমাতে পারেনি। তাতে নিজেদের মাঠে আরও একবার জয় নিয়ে মোহনবাগান মাঠ ছেড়েছে।