ত্রাতা মেসির হাত ধরে আরেকটি ফাইনালে মায়ামি

লিওনেল মেসির হাত ধরেই প্রথম শিরোপা জিতেছে ইন্টার মায়ামি। লিগস কাপ জয়ের পর মায়ামির শিরোপা ক্ষুধাটা যে মরে যায়নি তার প্রমাণ ইউএস ওপেন কাপ। মেসি ত্রাতা হওয়াতে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের পর পেনাল্টিতে ৫-৪ গোলে সিনসিনাটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে মায়ামি।  

সেমিফাইনালটা যেভাবে চলছিল তাতে সিনসিনাটির আধিপত্যই ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৮ ও ৫৩ মিনিটের দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা। প্রথম গোলটি ছিল লুসিয়ানো আকস্তার। দ্বিতীয়টি করেছেন ব্র্যান্ডন ভেসকেস। তার পর মেসির বানিয়ে দেওয়া বলে এই দুই গোল শোধ দেয় মায়ামি। স্ট্রাইকার লিওনার্ডো কাম্পানা দুটি গোল করলেও তার হেড পজিশনে ভাসানো দুটি ক্রসই করেছেন মেসি। প্রথমটি শোধ হয় ৬৮ মিনিটে। দ্বিতীয়টি হয়েছে ম্যাচটা যখন যোগ হওয়া সময়ে গড়িয়েছে তখন। স্টপেজ টাইমের মিনিট খানিক বাকি থাকতেই ত্রাতা হয়ে আসেন বিশ্বকাপ জয়ী। সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর বানিয়ে দেওয়া বলে গোল করে ম্যাচটাকে এক্সট্রা টাইমে নিয়ে যেতে অবদান রেখেছেন কাম্পানা। তার পর বদলি জোসেফ মার্টিনেজ স্কোর ৩-২ করে মায়ামিকে জয়ের পথে নিয়ে গেলেও সিনসিনাটি হাল ছেড়ে দেওয়ার দল ছিল না। শেষ দিকে স্কোর ৩-৩ করে ম্যাচটা শুটআউটে নিয়ে গেছেন ইউয়া কুবো। 

চারদিনের মাথায় এটা ছিল মায়ামির দ্বিতীয় শুটআউট। স্নায়ু পরীক্ষায় ন্যাশভিলেকে লিগস কাপের ফাইনালে হারাতে বীরত্ব দেখিয়েছেন গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হলো না। একটি শট রুখে দিয়ে মায়ামির জয়ের পথটা উন্মুক্ত করেছেন তিনি। নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দিলে পরে জাল কাঁপিয়ে জয় নিশ্চিত করেন বেঞ্জামিন ক্রেমাশি।

এখন মায়ামি আরেকটি ফাইনালের অপেক্ষায়। ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের প্রতিপক্ষ হিউস্টন ডায়নামো ও রিয়াল সল্ট লেকের মধ্যকার বিজয়ী দল।