আরিফের জোড়ায় আবাহনীকে হারিয়ে মোহামেডান রানার্সআপ

ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচা গোল করে আবাহনীকে রানার্সআপ করার পথে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ম্যাচ তো তখনও অনেক সময় বাকি। শেষ সময়ে এসে ম্যাচ আরও জমে ওঠে। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসে সমতা ফেরানোর পর যোগ করা সময়ে মোহামেডান জয়সূচক গোল করে সবাইকে চমকে দেয়। প্রিমিয়ার লিগে আরিফ হোসেনের জোড়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে রানার্সআপ হয়েছে তারা। ২০০৯-১০ মৌসুমে সবশেষ রানার্সআপ হয়েছিল সাদা-কালোরা।

মোহামেডান ১৮ ম্যাচে নবম জয়ে ৩৫ পয়েন্টে দ্বিতীয় হয়েছে। সমান ম্যাচে চতুর্থ হারে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করলো আকাশি-নীল জার্সিধারীরা।

বুধবার গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে ম্যাচ জমে উঠার ইঙ্গিত দেয় দুই দল।

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটে আবাহনী এগিয়ে যায়। জামাল ভূঁইয়ার কর্নারে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রোচা দারুণ হেডে বল জড়িয়ে দেন জালে।

মোহামেডান সমতায় ফেরার সুযোগ খুঁজছিল। ২৯ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১। মুজাফফরভের কর্নারে বক্সের ভেতরে ইরানের ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, সামনে থাকা আরিফ বল পেয়ে বাঁ পায়ের স্লাইডিং শটে গোলকিপারের পাশ দিয়ে জাল কাঁপান।

বিরতির পর আবাহনী দাপট দেখাতে শুরু করে। ৫৪ মিনিটে রোচার ফ্রি কিক একটুর জন্য জালে জড়ায়নি, বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।

তিন মিনিট পর আবাহনীর দুর্ভাগ্য। দুই ডিফেন্ডারকে ছাড়িয়ে কর্নেলিয়াস বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের জোরালো শট নিলেও তা সাইড পোস্টে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

৬৫ মিনিটে জামালের ডিফেন্স চেড়া থ্রু থেকে কর্নেলিয়াস বক্সে ঢুকে বল ধরার আগে ডিফেন্ডার শান্ত ক্লিয়ার করেন। তা নাহলে ব্যবধান বাড়তে পারতো।

দুই মিনিট পর জামালের বাইসাইকেল কিক বক্সের ওপর দিয়ে যায়। শেষ দিকে এসে মোহামেডান ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নেয়।

৮৫ মিনিটে দিয়াবাতে বল জালে জড়ালেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল। কিছুক্ষণ পর আবাহনীর একটি প্রচেষ্টা এক ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন।

যোগ করা সময়ের শুরুর দিকে মোহামেডান জয়সূচক গোল পায়। মুজাফফরভের ফ্রি কিকে আরিফ বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। এতেই সাদা-কালো শিবিরে উৎসব শুরু। দীর্ঘ ১৪ বছর পর অন্তত রানার্সআপ ট্রফি যে নিশ্চিত হলো!