পোল্যান্ডকে হারিয়ে নকআউটের আশা জাগালো অস্ট্রিয়া

ক্রিস্টোফ বাউমগার্টনার ও মার্কো আরনাওতোভিচের শেষ দিকের গোলে পোল্যান্ডের বিপক্ষে কষ্টের জয় পেলো অস্ট্রিয়া। ৩-১ গোলের এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার শেষ ষোলো খেলার আশা নতুন করে জাগালো তারা। আর বিদায় নেওয়ার একেবারে দোরগোড়ায় পোলিশলা।

‘ডি’ গ্রুপে দুই দলই প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করেছিল। ফ্রান্সের কাছে অস্ট্রিয়া হেরে যায় আত্মঘাতী গোলে। আর নেদারল্যান্ডস উড়িয়ে দেয় পোলিশদের। দুই দলই জানতো বার্লিনে আরেকটি হার তাদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিবে।

আর এই শঙ্কা দুই দলের ম্যাচে উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দুই দেশের দর্শকরা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় নিজ নিজ দলকে উজ্জীবিত করতে।

অস্ট্রিয়ান সমর্থকদের উল্লাসে কেঁপে ওঠে গ্যালারি ৯ মিনিটে। ফিলিপ মুয়েনের ক্রসে গার্নট ট্রওনার কাছের পোস্টের সামনে উঁচুতে লাফিয়ে হেড করে জাল কাঁপান। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল, আর ২০২০ সালের পর প্রথম।

পোল্যান্ড সমতা ফেরাতে অধীর হয়ে ওঠে। যদিও নিজের অর্ধের বাইরে বল নিতে হিমশিম খাচ্ছিল তারা। শেষ পর্যন্ত সমতাসূচক গোলের দেখা তারা পায় ৩০ মিনিট পর। ডানদিক থেকে এক ফুটবলারের ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। জ্যান বেদনারেকের শট ব্লক হলেও ফিরতি শটে ক্রিস্টোফ পিয়াতেক পোল্যান্ডের হয়ে গোল শোধ দেন।

তারপর পরিষ্কার সুযোগ আর পায়নি পোল্যান্ড। এমনকি দেশের শীর্ষ গোলদাতা রবার্ট লেভানডোভস্কিও উদ্ধার করতে পারেনি তাদের। ঊরুর চোটে প্রথম ম্যাচে বাদ পড়া এই স্ট্রাইকার বেঞ্চ থেকে খেলতে নামেন। 

অন্যদিকে অস্ট্রিয়া উজ্জীবিত পারফর্ম করে দুটি গোল আদায় করে। ৬৬ মিনিটে বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় উজচেখ শেসনিকে পরাস্ত করেন বাউমগার্টনার।

কয়েক মিনিট পর অস্ট্রিয়ার তিন পয়েন্ট সুনিশ্চিত হয়। পোলিশ গোলকিপার শেসনি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন মার্সেল স্যাবিটজারকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন আরনাওতোভিচ। তার ওই গোলে অস্ট্রিয়া ভক্তরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। মঙ্গলবার তারা ডর্টমুন্ডের মাঠে ডাচদের মুখোমুখি হবে নকআউটে খেলার আশা নিয়ে। দুই ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে তারা।

অন্যদিকে পোল্যান্ড ক্ষীণ আশা নিয়ে শেষ ম্যাচে খেলবে ফ্রান্সের বিপক্ষে। তবে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস শুক্রবারের ম্যাচে ড্র করলে প্রথম দল হিসেবে ইউরো থেকে বিদায় নিবে পোলিশরা।