মেসি-ডি মারিয়ার জন্য হলেও ট্রফি জিততে হবে...

দুই বন্ধুর মধ্যে কত্ত মিল! একসঙ্গে খেলতে খেলতে বেড়ে উঠা। 

সাফল্যও কম পাননি ক্লাব কিংবা জাতীয় দলে খেলে। এবার তাদের বন্ধন ছিন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরের পর লিওনেল মেসির সঙ্গে আর আকাশী-সাদা জার্সি পরে মাঠ মাতাবেন না অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। আগেই জাতীয় দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তাই কোপা আমেরিকার ফাইনালই হচ্ছে দুই বন্ধুর একসঙ্গে শেষ ম্যাচ! তাই এই ম্যাচটি জিতে কে না স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাইবেন। অন্তত ডি মারিয়ার জন্য হলেও তো জিততে হবে।

শুধু ডি মারিয়ার কথা বলছি না। ভোরের পর মুক্ত বাতাসে নির্ভার হয়ে ঘুরে বেড়াবেন। আর তার বন্ধু মেসি! পুরো দুনিয়ার সমর্থকরা তো তার দিকেও তাকিয়ে থাকবেন। দুজন মিলে কাতার বিশ্বকাপ জেতার দারুণ সাক্ষী হয়ে আছেন। তাই শেষটা কে না ভালো করতে চাইবে!

কলম্বিয়াকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে শিরোপা উৎসবে মাততে তো চাইবে আর্জেন্টিনা। বন্ধুকে বিদায় জানাতে সতীর্থদের আলাদা প্রস্তুতিও রয়েছে। মেসি তো জার্সি নিয়ে ট্রায়ালও দিয়েছেন, ট্রফি জেতার আড়ালে ডি মারিয়াকে বিদায়ী সংবর্ধনার জন্য।

শেষ বেলাতে এসে দুজনের ফর্মে টান পড়েছে। মেসি তো চোট কিংবা বয়সের কারণে নিজের সেরাটা পেছনে ফেলে এসেছেন। তাই সাবেকদের কেউ কেউ তো এখন মেসিকে আটকে রাখা কঠিন নয় বলে জানান দিচ্ছেন। যে কেউ আটকে রাখতে পারবে বলে ঘোষণাও এসেছে। আর ডি মারিয়া কাতারের মাঠে যেমন ছিলেন, ঠিক যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না।

তাই আজ কখন মাঠে নামেন তা দেখার বিষয় রয়েছে। স্কালোনি তাকে একাদশে কখন তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করবেন তা দেখার আশায় সমর্থকরা।

মাঠে নেমে শেষ ম্যাচে ঝলক দেখিয়ে সমর্থকদের মণিকোঠায় জায়গা করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাইবেন না ডি মারিয়া।

পাশাপাশি মেসির বেলাতে কাছাকাছি কথা প্রযোজ্য। ডি মারিয়া  আগেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। মেসি কিন্তু এখনও ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার আশায় আছেন। এর আগে এই কোপার ফাইনালে তার দিকেও সবার আলাদা ‍দৃষ্টি থাকবে।

কোপাতে আগের ম্যাচে একটি গোল আছে মেসির। এছাড়া বলার মতো বড় কিছু কমই। কাতারের পর কোপার ফাইনালে কিছু করে দেখাতে পারলে তখন সামনের দিনগুলো নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ বেশি থাকবে।

মেসি-ডি মারিয়ার জন্য খেলতে হবে আলভারেজ-মার্টিনেজদেরও। ১১ জন মাঠে দাপিয়ে বেড়াতে পারলে কোপার শিরোপা ধরে রাখা সম্ভব। নাহলে কলম্বিয়া এতদিন পর ফাইনালে উঠে মরণকামড় দিলে তা হবে বড় বিপদজনক।

মেসি-ডি মারিয়াকে ট্রফি উপহার দিতে আর্জেন্টিনা আশাজাগানিয়া পারফরম্যান্স করে দেখানোর পণ নিয়ে মাঠে নামবে। 

তাই রাতে ইউরোর ধুন্ধুমার ফাইনালের পর ঘুম জড়ানো চোখে দারুণ শান্তির পরশ হয়ে উঠতে পারে মেসি-ডি মারিয়ার ঝলক। সর্বোপরি পুরো আর্জেন্টিনার জন্য জ্বলে উঠার আরও একটি দিন। তাহলে ডি মারিয়ার বিদায় যেমন উৎসবমুখর হবে, তেমনই মেসিও পাবেন সামনের দিকে লড়াই করার রসদ। তাহলে কী ভাবছেন। আর্জেন্টিনা কি পারবে যুক্তরাষ্ট্রে কোপার শিরোপা ধরে রেখে ট্রেবল জয়ের ইতিহাস গড়তে!