মোহামেডানকে হারিয়ে আবাহনীর ‘প্রতিশোধ’

২০২৩ সাল থেকে মোহামেডান স্পোর্টিংকে হারাতে পারছে না আবাহনী লিমিটেড। হার কিংবা ড্রয়ের বৃত্তে আটকে থাকতে হয়েছে। অবশেষে ৬ ম্যাচ পর ফেডারেশন কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আকাশী-নীল জার্সিধারিরা। মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নৈপুণ্যে আবাহনী ১-০ গোলে মোহামেডানকে হারিয়েছে। এই জয়ে শুধু ঘুরে দাঁড়ানোই না, চলতি মৌসুমে সাদা-কালোদের বিপক্ষে ‘প্রতিশোধও’নিয়েছে আবাহনী!

‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট আবাহনীর। সমান ম্যাচে রহমতগঞ্জেরও ৬ পয়েন্ট। দু’দলই কোয়ালিফায়ারের পথে এগিয়ে। তবে মোহামেডান তিন ম্যাচে দুটিতে হেরে আগের তিন পয়েন্ট নিয়ে আছে।

মঙ্গলবার কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কোনও দল গোল পাওয়ার মতো আগ্রাসী ফুটবল খেলতে পারেনি। মোহামেডানে চোট কাটিয়ে সোলেমানে দিয়াবাতে শুরু থেকে খেলেছেন। যদিও ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। মনে হচ্ছিল চোট থেকে শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠেননি। বিপরীতে আবাহনী স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছে। তবে গোলকিপার মোহাম্মদ সুজন সুইপার হয়ে ‘ডি’ বক্সের বাইরে এসে একাধিকবার বল ক্লিয়ার করে তাদের গোল বঞ্চিত করেছেন।

আবাহনী সুযোগ পায় ১৯ মিনিটে। শাহরিয়ার ইমন বক্সে ঢুকে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু লক্ষে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠু ক্লিয়ার করেন তা। সানডে-দিয়াবাতেরা চেষ্টা করে গেছেন। তাতে মোহামেডান ৩৬ মিনিটে গোলের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সানডের ক্রস থেকে আরিফ হেড নেওয়ার আগেই হাত দিয়ে সেটি নস্যাৎ করে দেন মিতুল। দুই মিনিট পর সোলেমানে দিয়াবাতেকে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার কামরুল ক্লিয়ার করে দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান।

বিরতির পর খেলা অনেকটাই জমে ওঠে। দু’দলই গোল করার জন্য আগের চেয়ে বেশি চেষ্টা করতে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধের একটু পরই মুজাফফরভের কর্নারে একজনের ফ্লিক থেকে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন গোলকিপার মিতুল। অবশেষে ৭৪ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। শাহরিয়ার ইমনের নিচু ক্রসে মোহাম্মদ ইব্রাহিম দারুণ এক প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। গোলকিপার মোহাম্মদ সুজন বল আটকানোর চেষ্টা করলেও হাত ছুঁয়ে বলের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারেননি। 
৮৬ মিনিটে মোহামেডানের বদলি মোহাম্মদ জুয়েলের কর্নারে দিয়াবাতে গোলের সুযোগ পেয়েও হেড নিতে পারেননি। যোগ করা সময়ে ইব্রাহিমের কাটব্যাকে সতীর্থ একজনের শট গোলকিপার সুজন শুয়েপড়ে প্রতিহত করে দেন। তার পর রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাস শুরু করে আবাহনী।

দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-২ গোলে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের সঙ্গে ড্র করেছে।