হামজা চৌধুরীকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখার রোমাঞ্চের মাঝেও ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামের চূড়ান্ত দলে জায়গা না পাওয়া বেশ শোরগোল তুলেছে বাংলাদেশের ফুটবলে। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার মুহূর্তে তাকে বাদ দেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। এনিয়ে দেশের ফুটবল সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজমান। বাফুফে প্রধান তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠকও করতে হয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। অবশেষে চূড়ান্ত দলে জায়গা না পাওয়া প্রসঙ্গে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন ফাহমিদুল।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ৩৮ জনের প্রাথমিক দলে চমক ছিলেন ফাহমিদুল। বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা পরে ৩০ জনকে নিয়ে সৌদি আরবে ক্যাম্প শুরু করলে সেখানেও ছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। একটি রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে তার হ্যাটট্রিকের খবরও শোনা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিন্তু শোরগোল ওঠে সৌদি আরবের ক্যাম্প শেষ করে দল ঢাকায় ফেরার পর। তার আরও সময়ের প্রয়োজন বলেই তাকে না রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান কাবরেরা। এরপর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা বুধবার বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলনের সময় হোটেলের বাইরে প্রতিবাদ জানান।
সমর্থকদের এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ ফাহমিদুল বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কঠোর পরিশ্রম করে একদিন লাল সবুজ জার্সিতে মাঠে নামার পণ তার।
এবারে মূল দলে জায়গা হয়নি বলে মনোবল হারাচ্ছেন না তিনি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার প্রত্যয় ইতালির সিরি ‘ডি’তে খেলা এই তরুণ ফরোয়ার্ডের।
ফাহমিদুল লিখেছেন, ‘আমি ফাহমিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন ও প্রেরণার জন্য সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি আপনাদের অটল বিশ্বাস আমার যাত্রাজুড়ে বড় ছাপ ফেলেছে এবং যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
নিজের ফেসবুক পেজে তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন এবং উৎসাহের জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি আপনাদের অটল বিশ্বাস আমার পুরো যাত্রা জুড়ে অনেক কিছুরই মূল্য রেখেছে এবং যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদের সকলের প্রতি আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।’
দল থেকে বাদ পড়ায় হতাশ হলেও আরও দৃঢ় ফাহমিদুল, ‘আমি বাংলাদেশ ফুটবল দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এবার সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়নি। তবে, আমি বিশ্বাস করি সবকিছুই একটি কারণে ঘটে এবং আমার যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। ইনশাআল্লাহ, যদি সর্বশক্তিমান চান, একদিন আমি সবুজ এবং লাল জার্সি পরে মাঠে নামব, দেশ এবং দেশের আবেগপ্রবণ ভক্তদের জন্য আমার সর্বস্ব উৎসর্গ করবো। ততক্ষণ পর্যন্ত, আমি সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।’