ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে সামরিক উত্তেজনার কারণে আইপিএল স্থগিত হয়েছে। তার আগে পিএসএলের বাকি ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে আছেন। তাদের দুজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড উদ্যোগ নিয়েছে। দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে আছেন দুই বাংলাদেশি সাংবাদিকও। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখভাল করছে ফারুক আহমেদের বোর্ড।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘গত মঙ্গলবার থেকে দুই দেশের মধ্যে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমাদের মধ্যেও অত্যন্ত উদ্বিগতার সৃষ্টি করেছে। আমাদের দুজন ক্রিকেটার পাকিস্তানে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলছে। সেখান থেকে যখন প্রথম খবর পেয়েছি, আমাদের বোর্ড থেকে ক্রিকেট অপারেশন্সের (ইনচার্জ) শাহরিয়ার নাফীস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছে। আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে পিএসএল চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি, পিসিবি চেয়ারম্যানকেও বার্তা পাঠিয়েছি। প্রতিনিয়ত আমরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম।’
পাকিস্তান থেকে আজ রাতেই সব বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে বললেন ফারুক, ‘এখন সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করা হয়েছে। শুধু আমাদের ক্রিকেটারই নয়, অনেক বিদেশি ক্রিকেটার আছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে কীভাবে ভালো একটা সমাধান করা যায়। গতকাল একটা বৈঠক হয়েছে। তারা চেষ্টা করবে, আজকে কোনো একটা সময়ে যেন সব ক্রিকেটারকে পাকিস্তান থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। একইসঙ্গে বোর্ড থেকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিকের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘ওখানে আমাদের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিকও আছেন। তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। তাদের দুজনকেও যেন একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়, ক্রিকেট বোর্ড থেকে সেটিও বলে দিয়েছি। কারণ তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনে গেছেন। তাই ক্রিকেট বোর্ড মনে করে, এখানে আমাদেরও দায়িত্ব আছে। তাই চেষ্টা করছি, তাদেরও যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ক্রিকেটারদের সঙ্গে একসঙ্গে নিরাপদ জায়গায় যেতে পারে।’
পাকিস্তান সবার নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে জানালেন সাবেক নির্বাচক প্রধান, ‘গত তিন দিন সারাক্ষণই আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। খুব শিগগিরই একটা সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। আজকে বিকেলের মধ্যে তারা হয়তো ক্রিকেটারদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। নিরাপদভাবে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করবে তারা। এটা আমি জানতে পেরেছি।’
সবকিছু সুন্দরভাবে হবে বিশ্বাস ফারুকের, ‘বোর্ড সভাপতি হিসেবে শুরু থেকেই এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। তাই প্রথম থেকে তাদের সঙ্গে বোর্ড থেকে যোগাযোগ করেছি, আমিও ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি আশা করি এটির একটি সুন্দর হবে এবং সবাই যেন নিরাপদে থাকতে পারে।’