জয়ের আশা জাগিয়েও লখনউর কাছে হারলো কলকাতা

ইডেন গার্ডেন্সে ২৩৯ রানের লক্ষ্যে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। মাঝের ওভারের ধাক্কা য় তাদের ব্যাটিং লাইনআপ এলোমেলো হলেও রিংকু সিং তাণ্ডব চালান। তার ছক্কায় শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। কিন্তু জেতার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। মাত্র ৪ রানে হার মানে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এনিয়ে আইপিএলে রান তাড়ায় চার বা তার কমে কলকাতা হারলো সাত ম্যাচ, এর মধ্যে তিনবারই লখনউর কাছে।

চলতি আইপিএলে মিচেল মার্শের চতুর্থ ফিফটি এবং নিকোলাস পুরানের ৩৬ বলে ৮৭ রানের সৌজন্যে লখনউ সুপার জায়ান্টস রান পাহাড় গড়ে। লিগে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহে অবদান ছিল এইডেন মারক্রামেরও। ২৮ বলে করেন ৪৭ রান। কলকাতার ছয় বোলারের মধ্যে চারজনেরই ইকোনমি রেট ছিল ১২-এর বেশি।

মারক্রাম ও মার্শের ৯৯ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে লখনউ। তারপর পুরানের সঙ্গে মার্শের জুটি ৭১ রানের। তিনি ৪৮ বলে ৮১ রান করেন। শেষ দিকে আব্দুল সামাদকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন পুরান। ৩ উইকেটে ২৩৮ রান করে লখনউ।

হার্ষিত রানা কলকাতার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।

লক্ষ্যে নেমে দলকে ছন্দ এনে দেন কুইন্টন ডি কক ও সুনীল নারিন। ২.৩ ওভারে ৩৭ রানে ভাঙে জুটি। ডি কক ১৫ রানে ফিরে যাওয়ার পর নারিন ও আজিঙ্কা রাহানের জুটিতে পাওয়ার প্লেতে কলকাতার সংগ্রহ ৯০ রান।

১৩ বলে ৩০ রানে ফিরে যান নারিন। রাহানে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার জুটিতে কলকাতা সহজ জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ৪০ বলে ৭১ রানের জুটি ভাঙতেই ওলটপালট হয় স্বাগতিকরা। শার্দুল ঠাকুর ফেরান রাহানেকে, ৩৫ বলে ৬১ রান করেন কলকাতা অধিনায়ক।

এরপর টানা চার ওভারে আরও চার উইকেট হারায় কলকাতা। ২৩ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর ব্যাটারদের যাওয়া আসার মিছিল থামে।

এরপর রিংকু তাণ্ডব চালান। তাতে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ রানের। হার্ষিত বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন। পরের দুই বলে একটি রান নেন তিনি। রিংকু শেষ তিন বলে টানা দুটি চার ও এক ছক্কা মারেন। জয়ের খুব কাছে গিয়েও হার মানতে হয় কলকাতাকে। ১৫ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন রিংকু। ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে কলকাতা।