ইন্টার মিলান অপ্রত্যাশিতভাবে ২১ মিনিটের মধ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায়। তবে বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়ায়। লামিনে ইয়ামালের উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে হাফটাইমের আগেই সমতা ফেরায় কাতালানরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ছয় গোলের থ্রিলার ড্রয়ের পর প্রশংসায় ভাসছেন ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
ক্লাবের হয়ে একশতম ম্যাচ খেলতে নেমে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সাকে ম্যাচে ফেরান ইয়ামাল। একক চেষ্টায় গোল করে ব্যবধান কমান তিনি। তারপর ফেরান তোরেস স্কোর ২-২ করেন। ডেনজেল ডুমফ্রাইস ইন্টারের তৃতীয় গোল করলেও রাফিনহার শটে কিপার ইয়ান সমারের আত্মঘাতী গোলে বার্সা স্কোরে সমতা আনে।
ইয়ামালের এটি ছিল চলতি মৌসুমে ১৫তম গোল। বাজে শুরুর পর তার ওই গোলেই ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। দুইবার ক্রসবারেও আঘাত করেন তিনি। সতীর্থদের বেশ কয়েকবার সুযোগও তৈরি করে দেন।
পুরো ম্যাচে ঝলক দেখানো ইয়ামালকে নিয়ে প্রশংসায় কার্পণ্য করেননি ইন্টার কোচ সিমনে ইনজাঘি, ‘চমৎকার খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দল যেভাবে এখানে খেলেছে, আমি তা দেখে গর্বিত। বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ও ফর্মে থাকা দলের বিপক্ষে এই পারফরম্যান্স করেছে তারা।’
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইয়ামালকে নিয়ে ইন্টার কোচ বললেন, ‘বার্সার একজন খেলোয়াড় (ইয়ামাল) আছে, যাকে থামানো কঠিন। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ ২৫ মিনিটে সে অনেক সমস্যা তৈরি করেছিল। তার মতো খেলোয়াড় আগে আমি সামনাসামনি দেখিনি। তাকে থামানোর জন্য তো দুজনকে দায়িত্ব দিতে হলো। তার মতো ফেনোমেনন প্রতি ৫০ বছরে একবার জন্ম নেয়। সে আজ সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
বার্সা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক ইয়ামালকে নিয়ে বললেন, ‘আমি মনে করি প্রথমার্ধে লামিনে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সে অনেক ইতিবাচক ব্যাপার তৈরি করেছিল এবং প্রথম গোলও করলো। বড় ম্যাচগুলোতে সে তার সামর্থ্য দেখায়। আমি মনে করি সে বিশেষ। সে একজন প্রতিভাবান। এমন বড় ম্যাচগুলোতে সে এই ধরনের পরিস্থিতি উপভোগ করে। আমি সত্যিই খুশি যে এই ধরনের প্রতিভা, যারা ৫০ বছরে একবার জন্ম নেয়, তারা বার্সার হয়ে খেলে।’