জয়পুরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২১৭ রানের পাহাড় গড়েছিল। তারপর গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তাণ্ডব চালানো বৈভব সূর্যবংশীকে একই রূপে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের ভক্ত-সমর্থকরা। এবার আর ১৪ বছর বয়সী ওপেনারে ব্যাটে বিস্ফোরণ হলো না। উল্টো পুরো ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে গেলো জসপ্রীত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট ও করণ শর্মাদের বোলিংয়ে। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের পর রাজস্থান দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেলো। ১০০ রানে টানা ষষ্ঠ ম্যাচ জিতে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো মুম্বাই।
ওপেনিংয়ে রায়ান রিকেলটন ও রোহিত শর্মার ১১৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে মুম্বাই। দুজনেই করেন হাফ সেঞ্চুরি। ৭১ বলের জুটি ভেঙে যায় রিকেলটন আউট হলে। দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ইনিংস সেরা ৬১ রান করেন।
পাঁচ বলের মধ্যে রোহিতও আউট হন। ৩৬ বলে ৯ চারে ৫৩ রান করেন এই ভারতীয় ওপেনার।
তারপর সূর্যকুমার যাদব ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার ৪৪ বলে ৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুইশ পার করে মুম্বাই। দুজনেই ২৩টি করে বল খেলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
লক্ষ্যে নেমে বৈভব দুই বল খেলে ডাক মারেন। দীপক চাহারের শিকার হন তিনি। তারপর টানা দুই ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট ফেরান যশস্বী জয়সওয়াল (১৩) ও নিতিশ রানাকে (৯)। পঞ্চম ওভারে পরপর রিয়ান পরাগ (১৬) ও শিমরন হেটমায়ারকে (০) আউট করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করে জসপ্রীত বুমরা।
শুভম দুবে (১৫) ও ধ্রুব জুরেল (১১) টানা দুই ওভারে বিদায় নেন। নবম ওভার শেষে ৭৬ রানে ৭ উইকেট নেই রাজস্থানের।
১২তম ওভারে করণ শর্মা জোড়া আঘাতে ফেরান মাহিশ ঠিকশানা (২) ও কুমার কার্তিকেয়াকে (২)। ৯১ রানে ৯ উইকেট পড়া রাজস্থানকে পরের ওভারে দুটি ছক্কা মেরে একশর ঘরে নেন জোফরা আর্চার। মুম্বাইয়ের আগুন বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আকাশ মাধওয়ালকে নিয়ে ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটিও গড়েন ইংলিশ ব্যাটার।
একরোখা এই জুটি ভাঙতে বোল্টকে বোলিংয়ে এনেই জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারে মুম্বাই। শর্ট ফাইন লেগে বুমরাকে ৩০ রানে ক্যাচ দেন আর্চার, ভাঙে ২৬ রানের জুটি।১৬.১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট রাজস্থান।
মুম্বাইয়ের পক্ষে বোল্ট ও করণ সমান তিনটি করে উইকেট নেন।
১১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে উঠে গেলো মুম্বাই। এক ম্যাচ কম খেলে সমান সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১১ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে থাকা রাজস্থানের প্লে অফ থেকে বিদায় নিশ্চিত।