রানার্সআপ হয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়ে খুশি ওরা, কিন্তু...

ভারতের কলকাতা থেকে বৈরী আবহাওয়ায় শুরুতে ঢাকায় নামতে পারেনি সাফ অনূর্ধ্ব ১৯ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ বাংলাদেশ দলের কোচ-খেলোয়াড়রা। পরবর্তীতে রাতে অবশ্য ঠিকঠাক ঢাকায় পৌঁছে সরাসরি বাফুফে ভবনে আসেন ফয়সাল-মুর্শেদরা। সেখানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও সহ সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণার পাশাপাশি অর্থ পুরস্কারও পেয়েছেন।

বাফুফের পক্ষ থেকে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে রানার্সআপ হওয়ায় আনুষ্ঠানিক অর্থ পুরস্কার ছিল না। তবে সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী নিজেই স্কোয়াডে থাকা ২৩ জন ফুটবলারকে  ৫০ হাজার টাকা করে হাতে তুলে দেন । আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও এই দলটির পৃষ্ঠপোষক রেডিয়্যান্টের পক্ষ থেকে গিফট হ্যাম্পারও দিয়েছেন। ভারতে যাওয়ার আগে সপ্তাহ দু’য়েক  যশোরে নিজস্ব শামসুল হুদা একাডেমিতেও অনুশীলন করেছিল নাজমুল ফয়সালরা। সামনে এএফসি ও সাফের বয়সভিত্তিক আরও আসর রয়েছে। বাফুফে সভাপতি ও সহ সভাপতি  ফুটবলারদের  অন্য টুর্নামেন্টের জন্য আরও প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

বাফুফের সহ সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এই প্রসঙ্গে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, 'সাফে ছেলেরা দারুণ  খেলেছে। বিশেষ করে ফাইনালে পিছিয়ে পড়ার পর যেভাবে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ! আমি তাদের বলেছি, মনোবল হারালে চলবে না। তাদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে এই দলের হাতেই বাংলাদেশ শিরোপা অর্জন করবে। আর কতো টাকা অর্থ পুরস্কার পেয়েছে তা সিক্রেটই থাকুক।'

তিনি আরও বলেছেন, 'তাদের অনুপ্রেরণা দিতেই অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে ওরা আরও ভালো খেলবে। এর জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।'

অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ফরোয়ার্ড মুর্শেদ আলী এমন অর্থ পুরস্কার ও অনুপ্রেরণা পেয়ে খুশি, 'আমরা সবাই অর্থ পুরস্কার পেয়েছি। কর্মকর্তারা আমাদের নানানভাবে উৎসাহ দিয়েছেন। তবে অরুনাচলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ভালো হতো। ভাগ্য সহায় না থাকায় হতে পারিনি। আশা করছি, সামনের দিকে সাফল্যের দেখা পাবো।'

বয়সভিত্তিক দল অর্থ পুরস্কার পেলেও সাফজয়ী সাবিনারা এখনও দেড় কোটি টাকা পাননি। এ নিয়ে বাফুফের অন্য কর্তাদের মধ্যে কোনও হেলদোল নেই!