জর্ডানে তিন জাতি টুর্নামেন্টে খেলতে কাল সোমবার সকালে ঢাকা ছাড়ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। যাওয়ার আগে আজ রবিবার ২৩ সদস্যদের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন কোচ পিটার বাটলার। তবে দল গঠন নিয়ে, বিশেষ করে সাবিনা-মাসুরাদের বাদ পড়া নিয়ে ইংলিশ কোচকে নানান ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে।
সাবিনার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীনকেও নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি ইংলিশ কোচ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এই দুই জনের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন হলে বাটলারের ব্যাখ্যা, ‘সাবিনার অনেক অর্জন রয়েছে। সেটির প্রতি আমি অশ্রদ্ধাশীল নই। এরপরও বলবো তার (সাবিনা) সময় শেষের দিকে। মাসুরা এখন সঠিক শেপে নেই। এই বাস্তবতা মানতে হবে।’
সম্মেলনের শুরুতে কোচ দল গঠন নিয়ে বলেছেন, ‘অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে দল গঠন করা হয়েছে। গত ছয় মাসের পারফরম্যান্স, ইনজুরির ইতিহাস, খেলার দর্শন-স্টাইল, শৃঙ্খলা, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটিজ সব কিছুই বিবেচনা করা হয়েছে।’
সাবিনা-মাসুরা ব্রিটিশ কোচ বাটলার হটাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বাফুফের উদ্যোগে সেটা সমঝোতা হলেও দল নির্বাচনে অনেকের ধারণা কোচ সেই কারণে হয়তো তাদের নেননি। কোচকে সরাসরি জিজ্ঞাসা- সাবিনা, মাসুরাসহ অন্যরা টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যাল কারণে বাদ নাকি ইগোর কারণে? এর উত্তরে বাটলার বলেন, ‘তথ্য ও রেফারেন্সের ভিত্তিতেই আমি দল গড়েছি। কৃষ্ণা প্রায় দেড় বছরে খেলেনি। সানজিদাও বেশি ম্যাচ খেলেনি। নীলা ইনজুরিতে, সুমাইয়া জাতীয় দলে তেমন খেলেনি।’
এবার জর্ডান সফরের জন্য মারিয়া মান্ডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের মতো সিনিয়র ফুটবলার রয়েছেন। এরপরও অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড আরব আমিরাত সফরে প্রথমবার পাওয়া আফঈদার হাতেই।
এর কারণ সম্পর্কে বাটলারের যুক্তি, ‘শুধু খেলা নয় এবং অভিজ্ঞতাও নয়। নেতৃত্বের গুণাবলি ও আরও কিছু বিষয়ের ওপর অধিনায়কত্ব হয়। সেই বিবেচনায় আফঈদাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। এটা আমার সিদ্ধান্ত।’
৩১ মে ইন্দোনেশিয়া ও ৩ মে জর্ডানের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। বাংলাদেশ কোচের দুশ্চিন্তা অনুশীলন ঘাটতি, ‘আমরা মাঠের কারণে ভালো মতো অনুশীলন করতে পারিনি। এরপরও যতটুকু প্রস্তুতি হয়েছে, সেটা দিয়েই নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’