গোল উৎসব করে ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটে জায়গা করে নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। আমিরাতি ক্লাব আল আইনকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা। গ্রুপ জি থেকে নকআউট নিশ্চিত হয়েছে জুভেন্টাসেরও।
গোলের শুরুটাই হয়েছে জার্মান মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্দোগানের পা থেকে। ৯ মিনিটে শুরুর গোলটি করেছেন তিনি। তার পর ৭৩ মিনিটে পেয়েছেন দ্বিতীয়। প্রথমার্ধে আরও জাল কাঁপান আর্জেন্টাইন টিনএজার ক্লদিও এচেভেরি এবং আর্লিং হাল্যান্ড। শেষ দশ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে স্কোরশিটে নাম তোলেন বদলি খেলোয়াড় অস্কার বব এবং নিউ সাইনিং রায়ান চেকরি।
গোল উৎসবে গ্রুপ থেকে জুভেন্টাসের সঙ্গে গোল ব্যবধানও সমান হয়ে গেছে ম্যানসিটির। রবিবার ইতালিয়ান জায়ান্টরা ওয়াইদাদ কাসাব্লাঙ্কাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে। এখন গ্রুপের শেষ ম্যাচে সিটি ও জুভেন্টাসের লড়াইয়ে নির্ধারিত হবে কে শেষ ষোলোতে গ্রুপ সেরা হয়ে যাবে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল সিটির আধিপত্য। সব মিলে শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছিল তারা ২১-৫।
পুরো ম্যাচে ৯টি কর্নার কিকের প্রথমটি আসে অষ্টম মিনিটে। যেটি করেছিলেন বের্নার্ডো সিলভা। সেখান থেকে জাল কাঁপান গুন্দোগান। ২৭ মিনিটে ক্লাবের হয়ে প্রথমবার শুরুর একাদশে খেলতে নামা এচেভেরি গোল করেন ফ্রি কিক থেকে। তার পর প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ের পঞ্চম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান হাল্যান্ড।
বিরতির পর বাকি গোলগুলো হয়েছে শেষ ২০ মিনিটে। ৬৯ মিনিটে আলআইনের হয়ে গোলের সুযোগ মিস করেন চাদলি। কিন্তু ৭৩ মিনিটে সিলভার পাস থেকে গুন্দোগান দ্বিতীয় গোল তুলে নিলে ঘুরে দাঁড়ানোর সব আশা তখনই শেষ হয়ে যায় তাদের। ৮৪ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করেন বব। সিলভার বদলে মাঠে নামা চেরকি তার পর সিটির অভিষেকে ৮৯ মিনিটে করেন তার প্রথম গোল।
জোড়া গোল করে গুন্দোগান ম্যাচের পর বলেছেন, ‘দারুণ পারফরম্যান্স। আমার মনে হয় ফলই বলে দিচ্ছে সব। শেষ পর্যন্ত এটাই ছিল প্রাপ্য।’