৪ জুন ভুটান ও ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচেই গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। স্পন্সরও ছিল অনেক। সেই দুটি ম্যাচে বাফুফের আয়-ব্যয় কত হয়েছে, তা জানানোর কথা থাকলেও এখনও জানায়নি। তবে আজ বাফুফের কম্পিটিশন কমিটি কিছুটা ধারণা দিয়েছেন।
আজ কম্পিটিশন কমিটির সভার পর আয়-ব্যয়ের তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানানো হবে- এমন গুঞ্জন ছিল। আদতে তা হয়নি। কম্পিটিশন কমিটির অন্যতম সদস্য তাজওয়ার আউয়াল ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘দুই ম্যাচে (সিঙ্গাপুর ও ভুটান) যা ব্যয় হয়েছে এতে বাফুফের তহবিল থেকে এক পয়সা খরচ হয়নি। লাভের বিষয়টি ফিন্যান্স কমিটি বা বাফুফে নির্বাহী কমিটি ভালো বলতে পারবে। এছাড়া ওই দুটি ম্যাচের ভুল-ত্রুটি পর্যালোচনা করে আমরা সামনের দিকে আরও ভালোভাবে ম্যাচ পরিচালনা করবো।’
এদিকে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠের ঘাস পরিবর্তন করার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না। কম্পিটিশন কমিটির সভা শেষে নির্বাহী সদস্য ও কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম গাউস বলেছেন, ‘আমরা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকেই তিন-চার মাস সময়ের কথা বলছে। অক্টোবরের আগে আমরা সেভাবে ঝুঁকি নিতে চাই না। নভেম্বরের পর অনেক দিন আন্তর্জাতিক খেলা নেই। তখনই বড় ধরনের সংস্কার শুরু করতে চাই। এর মধ্যে মাটি না উঠিয়ে ঘাসের মান উন্নয়নের কাজ আমাদের তত্ত্বাবধানেই চলবে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের দুটি হোম ম্যাচ রয়েছে অক্টোবর-নভেম্বরে। সেগুলো ঢাকায় করার পরিকল্পনা করছে ফেডারেশনের সদস্য ইকবাল হোসেন, ‘হংকং ম্যাচটি ঢাকাতেই করার আলোচনা চলছে। ভারত ম্যাচ নিয়ে এখনও আলোচনা শুরু হয়নি। তবে দুটি ম্যাচই ঢাকায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
গোলাম গাউস আরও বিস্তারিত তুলে ধরে বললেন, ‘সিলেট ও চট্টগ্রাম ভেন্যু আমরা পরিদর্শন করেছি। সেখানে বেশ কিছু কাজ প্রয়োজন। এই সময়ের মধ্যে সেগুলো করা কঠিন আবার ব্যয় সাপেক্ষ। তাই ঢাকা স্টেডিয়াম নিয়েই আমরা হংকং ম্যাচের পরিকল্পনায় এগোচ্ছি।’