পেশাদার ফুটবলে এমনিতেই অনেক ব্যস্ততা। তার ওপর ক্লাব বিশ্বকাপের মতো আয়োজন প্রাপ্য বিশ্রামের সুযোগটুকু কেড়ে নিচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানাচ্ছেন অনেকে। ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা তো সরাসরি ক্লাব বিশ্বকাপকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। সিটি কোচের মতে, প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের আগে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ ধ্বংস করে দিতে পারে তাদের।
ম্যানসিটি তাদের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ করেছে ২৫ মে। যার তিন সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পর ১৮ জুন শুরু হয় ক্লাব বিশ্বকাপ। শেষ ষোলোতে সোমবার তাদের প্রতিপক্ষ আল হিলাল। শেষ পর্যন্ত শিরোপা মঞ্চে পৌঁছালে ১৩ জুলাই ফাইনাল। তার পর প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরুর আগে একমাসের মতো প্রস্তুতির সময় পাবে তারা। ইংলিশ লিগ শুরু ১৬ আগস্ট। গার্দিওলা এটা নিশ্চিত নন যে, ক্লাব বিশ্বকাপ ঠিক কতটা তার দল থেকে শুষে নেবে। তবে এর নিশ্চিত প্রভাব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘এটা শেষ হলে বুঝতে পারবো কী হতে যাচ্ছে। প্রিমিয়ার লিগ আমাদের যতটুকু সময় দিয়েছে বিশ্রামের, সেই সময়টুকু নিয়ে বুঝতে পারবো।’
তবে গার্দিওলা মনে করেন নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি এলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে, ‘হয়তো নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে একটা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। কারণ আমরা ক্লান্ত থাকবো আর ক্লাব বিশ্বকাপ হয়তো তখন আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমি এখনও জানি না, কিন্তু এরকম টুর্নামেন্ট তো প্রথমবার খেলছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘মানসিকভাবে ফুটবলাররা তো আগে জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে। এমনটা অনেক সময় হয়ে আসছে, ফলে কখনও কখনও মানসিকভাবে বিশ্রামটা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা যায় এবং তার পর মাঠে ফিরলে বাকিটা বুঝতে পারবো।’
লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ ছিলেন ক্লাব বিশ্বকাপের সবচেয়ে কঠোর সমালোচকদের অন্যতম। তিনি টুর্নামেন্টকে অর্থহীন বলে তকমা দিয়েছেন। বর্তমানে রেড বুল সকারের বৈশ্বক প্রধান ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, এর ফলে এমনভাবে খেলোয়াড়রা ইনজুরি আক্রান্ত হবেন, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। তার মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গার্দিওলাও বেশ কিছু যুক্তিতে একমত পোষণ করেছেন।