মেরিনার্সের কাছে মোহামেডানের হার

506ddca6-19a4-493b-aa2b-4ca60f6058f0খেলার মাঠে বাজে দিন গেল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। ক্রিকেটে আবাহনীর কাছে বড় হারের পর গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়ার হকির গুরুত্বপূর্ণ খেলায় মেরিনার্সের কাছে ১-৩ গোলে হেরে গেছে মোহামেডান। লিগে এটি মোহামেডানের প্রথম পরাজয়।

এ হারে শিরোপা লড়াই থেকেও পিছিয়ে পড়লো মোহামেডান। ১০ খেলায় তাদের পয়েন্ট ২৩, মেরিনার্সের পয়েন্ট ২৫। ১০ খেলায় ২৮ পয়েন্ট নিযে শীর্ষে ঊষা, ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী।

খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই ভাগ্যদেবীর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয় মেরিনার্স। ম্যচের প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে রাব্বির পুশ, মো. তৌফিকের পুশের পর গড়ানো পুশ করেছিলেন সোহানুন রহমান সবুজ। কিন্তু বল সাইড পোস্টে লেগে ফেরত আসে।

আর পুরোপরি উল্টো দৃশ্য সাত মিনেট। নিজ প্রথম পেনাল্টি কর্নারেই কিস্তিমাত মোহমেডানের। ভ্যারিয়েশন ছিল পেনাল্টি কর্নারটিতে। ওমর ভুট্টোর পুশ, ইমরান হাসান পিন্টুর স্টপের পর বল পান মো. ইমরান। বল হিট না করে তিনি ব্যাক পাস করেন। তাসওয়ার আব্বাস তৈরি ছিলেন। ড্র্যাগ করে তিন বল জড়িয়ে দেন জালে।

মেরিনার্সের শনির দশা অব্যাহত থাকে ১২ মিনিটেও এবার মামুনুর রহমান চয়নের ড্র্যাগ আঘাত হানে ক্রস পোস্টের একদম কোনায়। দুই মিনিট পরই কেটে যায় তাদের হতাশা। পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড ওয়াকাস শরিফ ২৫ গজের লাইন থেকে জোরের ওপর হিট নিয়েছিলেন। বক্সের মাঝে দাঁড়ানো ওয়াকাস কব্জীর মোচড়ে যে ফ্লিকটি বরেন তা বিদ্যুৎ গতিতে আঘাত হানে বোর্ডে। ওমানি আম্পয়ার প্রথমে গোল ঘোষণা করতে চাননি ভিডিও রেফরালের পর গোল পায় মেরিনার্স।

২৭ মিনিটে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় মেরিনার্স। চয়নের চমৎকার টাচলাইন বরাবর থ্রু আয়ত্বে নিয়ে কোনাকুনি হিট নিয়েছিলেন মঈনুল ইসলাম কৌশিক। মেরিনার্সের তরুণ ফরোয়ার্ড আরশাদ হোসেন সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল স্টিকে লাগাতে পারেননি। ছোঁয়াতে পারলে হয়তো হতে পারতো গোল।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে মোহামেডান অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি আম্পায়ারের সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হলে তাকে সবুজ কার্ড দেখান আম্পয়ার। জিমি এর প্রতিবাদ করলে ১২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধে মেরিনার্সের পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড ওয়াকাস শরিফ মোহমেডান গোলরক্ষক জাহিদ হোসেনকে একা পেয়েও হিট না দিয়ে পাস দিলে গোলবঞ্চিত হয় মতিঝিল পাড়ার দলটি। পাল্টা আক্রমণে মোহামেডানের পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড ওমর ভুট্টো মেরিনার্স গোলরক্ষক মেহরাব হোসেন কিরণকে সামনে পেয়েও হিট নিতে দেরি করার কারণে ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করতে সক্ষম হন।

কিছুক্ষণ পর পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মেরিনার্স। নিজ অর্ধ থেকে একাই বল নিয়ে এগিয়ে যান মঈনুল ইসলাম কৌশিক। মোহামেডান বক্সের ওপর থেকে তিনি বল পাস দেন ওয়াকাস শরিফকে। ঠাণ্ডা মাথায় তিনি বল ঠেলে দেন পোস্টে।

মোহামেডান সমতা আনার জন্য পাগলপ্রায হযে ওঠে আর খেলা শেষের সাত মিনিটে আগে রানার পাসে সালমান হোসেন ও ওমর ভুট্টো দুজনেই বল মারেন বাইরে। মোহমেডানের খেলোয়াড়রা তাদের মাথা গরম করে ও আম্পয়ারদের সিদ্ধান্ত না মানার প্রবণতা নিয়ে খেলে নিজেদের বিপর্যয় ত্বরান্বিত করে। শেস মিনিটে ওয়াকাস শরিফের পুশ মোহামেডান গোলরক্ষক জাহিদ থামালেও তার কিছুক্ষণ পর আরশাদ হোসেনের স্টিক থেকে তৃতীয় গোল আসে। ফলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেরিনার্স।

/আরএম/এমআর/