সমতায় ফিরেও বাংলাদেশের হার

চয়নের গোলের পর বাংলাদেশের উল্লাস। ছবি-ফেসবুকপ্রস্তুতি ম্যাচে জাপানকে হারানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও হেরে গেছে স্বাগতিকরা। শেষ কোয়ার্টারে দুটি ফিল্ড গোল ৩-১ ব্যবধানে জয় এনে দিয়েছে জাপানকে।

আগের দুই ম্যাচে ভারত ও পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছেই হার মেনেছিল ৭-০ গোলে। রবিবার তুলনামূলক আক্রমণাত্মক ছিলেন জিমি-চয়নরা। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ার্টারে কোনও গোল হয়নি। ম্যাচের একাদশ মিনিটে টানা তিনটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করলেও গোলের দেখা পায়নি জাপান। ১৩ মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি অতিথি দল।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হয়েছে দুই গোল, যার একটি বাংলাদেশের, অন্যটি জাপানের। শুরুতে জাপানের একটি পেনাল্টি কর্নার নষ্ট হওয়ার পর প্রতিপক্ষের সামনে দেয়াল তুলে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক অসীম গোপ। ২০ মিনিটে অন্তত চারটি আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন তিনি। ২২ মিনিটে অবশ্য দলকে বাঁচাতে পারেননি। ডানদিক  থেকে দ্রুত গতিতে স্ট্রাইকিং সার্কেলে ঢুকে পড়া কেনজি কিতাজাতোর হিট এগিয়ে দেয় জাপানকে (১-০)।

জাপানের গোলমুখে বাংলাদেশের একটি আক্রমণ। ছবি-ফেসবুক২৮ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায় বাংলাদেশ, যা টুর্নামেন্টেই স্বাগতিকদের প্রথম! আর তাতেই বাজিমাত। পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন এবারের এশিয়া কাপে প্রথম গোল উপহার দেন বাংলাদেশকে (১-১)।

৩৯ মিনিটে হেইতা ইউশিহারাকে সার্কেলে ট্যাকল করে প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি স্ট্রোক দিয়েও বাংলাদেশকে বিপদে পড়তে দেননি অসীম গোপ। দারুণ দক্ষতায় নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিকদের গোলরক্ষক। তৃতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা জমে উঠলেও গোল হয়নি।

শেষ কোয়ার্টারে বাংলাদেশকে চেপে ধরে জাপান। ৫৯ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় লক্ষ্যভেদ করেন কেনতা তানাকা। মিনিট খানেক পর তানাকার আরেকটি লক্ষ্যভেদে নিশ্চিত হয় জাপানের জয়।