সাবেক দ্রুততম মানবী কোয়েল আর নেই

কোয়েল চূড়ান্তটানা তিনবার দ্রুততম মানবী হওয়ার অনন্য রেকর্ড গড়া কোয়েল চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রবিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় নিজ বাসায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনী রোগে ভোগা কোয়েল ৬৮ বছর বয়সে ছেড়ে গেলেন পৃথিবী।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘কোয়েলের দৃষ্টান্তমূলক কর্মকাণ্ড ও খেলোয়াড়ি জীবন বাংলাদেশের অসংখ্য ক্রীড়াবিদকে যুগ যুগ ধরে অনুপ্রাণিত করবে।’

১৯৫০ সালে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দহর শাকরাইল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কোয়েল। ক্রীড়ানুরাগী পারিবারের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় ওই সময়ের রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থার মধ্যেও কোয়েল দেশসেরা অ্যাথলেট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫- টানা তিন বছর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের দ্রততম মানবী হওয়ার বিরল গৌরব অর্জন করেন তিনি। তার অর্জন এখানেই শেষ নয়, ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান অলিম্পিকে ৫০ ও ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশ নিয়ে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন তিনি। এছাড়া ২০০ ও ৮০০ মিটারের সঙ্গে হার্ডলসও ছিল তার প্রিয় ইভেন্ট।

একসন্তানের জননী কোয়েলের স্বামী খন্দকার কামালউজ্জামান কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। কোয়েলের ছোট বোন টলি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দ্রুততম মানবী।

জানা গেছে, সোমবার নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে কোয়েলকে।